আশুগঞ্জে আদালতের নির্দেশে পাঁচমাস পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার বড়তল্লা গ্রামের মোর্শেদ মিয়ার লাশ আদালতের নির্দেশে পাচমাস পর কবর থেকে উত্তোলন করেছে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট । বুধবার দুপরে উপজেলার যাত্রাপুর কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়।।
আশুগঞ্জ থানা সুত্রে জানা যায়,গত ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর শনিবার ভোরে একটি পুকরের লিজকে কন্দ্রে করে আশুগঞ্জ উপজেলার বড়তল্লা গ্রামে মোর্শেদ মিয়া এবং যাত্রাপুর গ্রামের কুতব মিয়ার মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।উক্ত সংঘর্ষে মোর্শেদ মিয়া গুরুতর আহত হয়।আহত মোর্শেদকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মোর্শেদকে মৃত ঘোষনা করে।
এবিষয়ে নিহতের ছেলে সালামী বলেন,কুতুব মিয়া,তৈয়ব এবং সোহেলগং সামাজিকভাবে মিমাংশার কথা বলে আমার বাবার লাশ কোন প্রকার পোষ্ট মর্টেম ছাড়া হাসপাতাল থেকে লাশ বাড়িতে এনে দাফন করে ফেলে।পরবর্তীতে কোন সামাজিকভাবে মিমাংশা না করে আমাকে এবং আমার মাকে হুমকি দেয় যেন এ বিষয়ে আমরা কোন প্রকার আদালতে না যায় এবং কাউকে কোন কিছু না বলি।
দীর্ঘদিন পর গত ২০১৯ সালের ৪ নভেম্বরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতে লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তে আবেদন করে ব্রাহ্মণাবাড়িয়ার সিআইডির পরিদর্শক মনোয়ার হোসেন । সিআইডির পরিদর্শক মনোয়ার হোসেনের আবেদনে গত ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২০ লাশ উত্তোলনের আদেশ দেন বিজ্ঞ আদালত। আদালতের আদেশ পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রশান্ত বৈদ্য বুধবার দুপরে আশুগঞ্জ উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করে সুরতহাল তৈরীর পর ময়না তনদস্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান সিআইডির পরিদর্শক মনোয়ার হোসেন। সিআইডির পরিদর্শক মনোয়ার হোসেন বলেন,মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তরের পর তদন্তের দায়ীত্ব আমার উপর ন্যাস্ত হয়।তদন্তের স্বার্থে আমি লাশ উত্তোলনের আবেদন করি। যেহেতু বিষয়টি একটি স্পর্সকাতর বিষয়।সে কারণে অধিকতর তদন্তের জন্য লাশ ময়না কদন্ত ছাড়া কোন উপায় ছিলনা।তাই আমি নিজে লাশ উত্তোলনের আবেদন করি। ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে মোর্শেদকে হত্যা করা হয়েছে নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে তা জানা যাবে।