Main Menu

রাতে মহাসড়কে ভয়ংকর তারা

আশুগঞ্জ ও সরাইলে ডাকাতি ও হত্যাকান্ডে জড়িত গ্রেপ্তার-৫

+100%-

নিজস্ব প্রতিবেদক:: রাতে মহাসড়কে ভয়ংকর তারা। শুধু অর্থ কিংবা জিনিস পত্র ছিনিয়ে নেওয়ার পাশপাশি মানুষের প্রাণও কেড়ে নেয় তারা। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ ও সরাইলে পৃথক দুটি স্থানে ডাকাতিসহ দুই হত্যাকান্ডের ঘটনায় সরাসরি জড়িত ৫রোড ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি তারা রোড় ডাকাত। বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট তারানুম রাহাত এর আদালতে ১৬৪ধারা জবানবন্দি শেষে কারাগারে প্রেরণ করে।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো.মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ জানান ১৮নভেম্বর শনিবার রাত থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার তারুয়া গ্রামের আব্দুর রহমান মিয়ার ছেলে আব্দুল হক, সুলেমান মিয়ার ছেলে আবু তালেব সুমন,বাদল মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম, জেলার সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ এলাকার লক্কু মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন,শাহজাহান মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেন। গ্রেপ্তারকৃতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট তারানুম রাহাত এর আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এসব ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আশুগঞ্জ পুলিশ থানা পুলিশ প্রথমে আশুগঞ্জ উপজেলার তারুয়া গ্রাম থেকে আবু তালেব সুমনকে গ্রেপ্তার করে। তার দেয়া তথ্য মতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ আরও ৪জনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের দেয়া তথ্য মতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৩ নভেম্বর দিবাগত রাতে আশুগঞ্জ থেকে লুট হওয়া ৭২পিস চৌকাঠ দরজা ও ১৮নভেম্বর সরাইল থেকে লুট হওয়া মাছ বিক্রির ১লাখ ৪হাজার ৬৯৫ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে এই ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থানা চত্বরে সংবাদ সম্মেলন করে আশুগঞ্জ থানা পুলিশ। এই সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) মো. মনিরুজ্জামান ফকির,আশুগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.বদরুল আলম তালুকদার ও আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো.মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

এই ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) মো. মনিরুজ্জামান ফকির সাংবাদিকদের জানান এরা সবাই পেশাদার রোড ডাকাত। দুইটি ঘটনার সাথে গ্রেপ্তারকৃতরা সরাসরি জড়িত। এরা শুধু জিনিস পত্র ছিনিয়ে নেয়না। পাশপাশি প্রাণ কেড়ে নেন। এছাড়া এই দুই ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত। আরও যারা আছে তাদের গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান তিনি ।
উল্লেখ্য, ১৩নভেম্বর দিবাগত রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরপুর ডাকাতরা একটি পিক-আপ ভ্যানে থাকা ৭০পিস চৌকাঠ দরজা লুট করে নিয়ে যায়। এসময় গাড়িতে থাকা দেওয়ান এন্টারপ্রাইজে ম্যানেজার কামাল আহাম্মেদকে হত্যা করে ডাকাতরা। এদিকে ১৮নভেম্বর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল উপজেলার বেড়তলা এলাকা থেকে ডাকাতরা একটি মাছ বোঝাই ট্রাক লুট করে নিয়ে যায়। এসময় মাছের মালিক রফিক মিয়াকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে এই ডাকাতরা।






Shares