Main Menu

আশুগঞ্জে খাড়াসার গ্রামে বিদ্যালয়ের ভূমি দখল করে পোল্ট্রি ফার্ম স্থাপন পরিবেশ বিপর্যস্থ :অতিষ্ঠ মানুষ

+100%-

স্টাফ রিপের্টার ॥পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া নিয়ম নীতি অমান্য করে অর্থলোভী মোরগ ব্যবসায়ী কর্তৃক আশুগঞ্জ উপজেলাধীন খাড়াসার গ্রামে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভূমি অবৈধ দখল করে পোল্ট্রি মোরগের ফার্ম স্থাপন করায় এর দুর্গন্ধে পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয়সহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছাত্র ছাত্রী, পথচারী এবং আবাসিক জনগণের দুর্ভোগ অব্যাহত রয়েছে। সরানোর অনুরোধ করার পরও ফার্ম মালিক প্রভাবশালী আনিছুজ্জামান মুকুল সরকার ওরফে বাবুল মিয়া একটি অদৃশ্য খুঁটির জোরে বহাল রেখেছে।
বিগত ২০১৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর খাড়াসার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির পক্ষে সদস্য মোঃ মোছা মিয়া স্বাক্ষরিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক বরাবর প্রেরিত অভিযোগপত্র এবং ২০১৪ সালের ২৪ জুলাই এলাকাবাসীর পক্ষে মোঃ মিন্টু মিয়া স্বাক্ষরিত আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর দাখিলকৃত অভিযোগ পত্রের পৃথক বিবরণে উল্লেখ করা হয়েছে, জনবসতি পূর্ণ খাড়াসার গ্রামে সরকারী রাস্তা সংলগ্ন খাড়াসার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভূমি গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তি আনিছুজ্জামান মুকুল সরকার ওরফে বাবুল মিয়া জোরপূর্বক  অবৈধ দখল করে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই নিয়মনীতি না মেনে ২০১৩ সালে পোল্ট্রি মোরগের ফার্ম স্থাপন করে ব্যবসা শুরু করে। যার কুফলে মোরগের শরীরের অসহনীয় গন্ধ ও বিষ্ঠার দুর্গন্ধে এলাকার স্বাভাবিক প্রাকৃতিক পরিবেশ বিনস্ট হয়ে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয় ঘটেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছাত্র ছাত্রী এবং রাস্তায় চলাচলকারী পথচারীগণ শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন ধরণের শারীরিক অসুস্থতায় আক্রান্ত হচ্ছে সর্বক্ষণ। ব্যাহত হচ্ছে পোল্ট্রি ফার্ম সংলগ্ন আবাসিক মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাপন। দুর্গন্ধের পাশাপাশি উক্ত ফার্মে জমা হওয়া মাছির অত্যাচারে অতিষ্ঠ সবাই। এতে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া বিঘিœত হচ্ছে, বিদ্যালয়ে উপস্থিতি কমে যাচ্ছে। নাকে রুমাল এবং হাতচাপা দিয়েও দুর্গন্ধ হতে রেহাই মিলে না। এই অবস্থায় খাড়াসার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি এবং এলাকাবাসী জনতা বৃহত্তর জনস্বার্থ ও সুস্থ প্রাকৃতিক পরিবেশ বিবেচনা করে বিদ্যালয়ের ভূমি হতে অন্যস্থানে পোল্ট্রি মোরগের ফার্মটি সরিয়ে নেয়ার জন্য এর মালিক আনিছুজ্জামান মুকুল সরকারকে অসংখ্যবার অনুরোধ করার পরও সে তা অদৃশ্য খুঁটির জোরে প্রত্যাখ্যান করে ফার্ম বহাল রেখে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
১৪ ফেব্র“য়ারী শনিবার আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সন্দিপ কুমার সিংহ এর নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফোনে (নং ০১৭০৫-৪১১২৩৪) তিনি জানান, এটি আমার অবগতিতে আসার পর আমি পোল্ট্রি মোরগের ফার্মটি উক্ত স্থান হতে অন্যত্র সরিয়ে নিতে সংশ্লিষ্টদের নোটিশ দেই। এরপর তারা আমার সাথে দেখা করে যেহেতু এতে বিপুল অংকের টাকা বিনিয়োগ করেছে এ কারণে এটি সরাতে ১ মাস সময় নেয়। এখন সেই সময়ও শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশ ফোর্স না পাওয়াতে উচ্ছেদে সময় লাগছে। তবে যতো দ্রুত সম্ভব আমরা ঐ পোল্ট্রি ফার্মটি বিদ্যালয় সংলগ্ন স্থান হতে উচ্ছেদ করে দিব।






Shares