ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ জোট প্রার্থী নয়, বিকল্প প্রার্থী মঈনের উপরেই আস্থা সাধারণ মানুষের।




কিন্তু নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটগত নির্বাচনের কারণে আসনটি জোটপ্রধান আওয়ামী লীগ জোটের অন্যতম শরীক জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়। মোঃ মঈনউদ্দিন দলের সিদ্ধান্তের প্রতি অনুগত্য থেকে মহাজোট প্রার্থীকে জিতাতে দিনরাত কাজ করেন। আওয়ামী লীগের প্রবল জনস্রোত ও বিশাল ভোট ব্যাংককে কাজে লাগিয়ে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে বর্তমান এমপি জিয়াউল হক মৃধা নির্বাচিত হন।
১০ বছরে দুইটি উপজেলায় উল্লেখযোগ্য কোন উন্নয়নের চিত্র চোখে পড়েনি। এ নিয়ে এলাকায় রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া । এবারও মঈনউদ্দিন দলীয় মনোনয়নে দৌড়ে এগিয়ে থাকা তৃণমূলের একমাত্র আস্থাশীল প্রার্থী ছিল। জোটের কারণে দলের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
১৯৭৩ সালের পর থেকে আ.লীগের হাত ছাড়া হওয়া আসনটিতে তৃণমূল থেকে এবার মঈনউদ্দিনকে নৌকা প্রতীকে দলীয় প্রার্থীর দেয়ার জোড় দাবি উঠে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৩১ টি আসনে দলীয় প্রার্থী চুড়ান্ত করে চিঠি দেয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছয়টি আসনে মধ্যে পাঁচটিতেই নৌকার প্রার্থী দিয়ে এবারও আসনটি জোটের জন্য রেখে দেয়। এ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়নের চিঠি পান জিয়াউল হক মৃধার মেয়ের জামাই হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের যুববিষয়ক উপদেষ্টা রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের বাসিন্দা । দলীয় প্রার্থীকে মনোনয়ন না দেওয়ায় আ. লীগের নিশ্চিত বিজয়ের আসনটি হাত ছাড়ার আশঙ্কায় নেতাকর্মীদের মাঝে চমর হতাশা নেমে আসে। এ আসনে আওয়ামী লীগের ৬ জন বিদ্রোহী প্রার্থী স্বতন্ত্র মনোনয়নপত্র জমা দেন। মোঃ মঈনউদ্দিন ছাড়া তথ্যের গড়মিলের কারণে বাকি ৫ জনের প্রার্থীতা বাতিল ঘোষনা করে জেলাার রিটানিং কর্মকর্তা।
এ খবরে মূহুর্তেই পাল্টে যায় ভোটের মাঠে দৃশ্যপট। এতে সাধরণ মানুষও আনন্দিত। কয়েকদিন ধরে নেতাকর্মীদের মধ্য যে হতাশা ছিল তাও দারুন ভাবে উজ্জীবিত হয়েছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী জটে মঈনউদ্দিন বেশ সুবিধাজনক রয়েছে। এ নিয়ে ভোটের মাঠেও শুরু হয়েছে নতুন হিসাব-নিকাশ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে জোট প্রার্থী নয়, আ.লীগে একমাত্র বিকল্প প্রার্থী মোঃ মঈনউদ্দিনকে নিয়েই নেতাকর্মীদের ভোটের মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাধারণ মানুষ মঈনের উপরই আস্থা রাখছে। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছে জিয়াউল হক মৃধা। মনোনয়নকে কেন্দ্র করে জামাই-শ্বশুরের দ্বন্দ্ব প্রকট হওয়ায় আসনটি হারানোর আশঙ্কা তৈরি হয়। যদিও রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া মনোনয়নের চিঠি পাওয়ার পর আজও সরাইল-আশুগঞ্জ প্রবেশ করতে পারেনি। আগামী দুই একদিনের মধ্যেই জানা যাবে মহাজোটের প্রার্থী কে হচ্ছে। জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে আসনটি উন্মুক্ত করে দিতে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
« আখাউড়ায় আওয়ামীলীগ এর কর্মীসভা ও মতবিনিময় (পূর্বের সংবাদ)
(পরের সংবাদ) বিজয়নগরে পুলিশের সোর্সকে গলা কেটে হত্যা »