আশুগঞ্জ- ভৈরব দ্বিতীয় রেলসেতুর নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে: এপ্রিল মাসের মধ্যেই সেতুটি উদ্বোধন
কয়েক দফা সময় বাড়ানোর পর দ্বিতীয় ভৈরব-আশুগঞ্জ রেলসেতুর নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এরইমধ্যে সেতুটির ৯১ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে এপ্রিল মাসের মধ্যেই সেতুটি উদ্বোধন সম্ভব বলে জানিয়েছে রেলওয়ের কর্মকর্তারা। এ অবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটি চালু হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে সময় কমে আসার পাশাপাশি ট্রেনের সংখ্যা বাড়বে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইরকন ও এফকন যৌথভাবে বর্তমান ভৈরব রেল সেতুর চল্লিশ মিটার দক্ষিণে মেঘনা নদীর উপর আরো একটি রেল সেতু তৈর করা শুরু করে। প্রকল্পের মেয়াদ অনুযায়ী ২০১৬ সালের জুন মাসে সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু নানা বাধার কারণে দু’বার সময় বাড়ানো হয়। তবে সব প্রতিকূলতাকে পেরিয়ে চলতি বছরের এপ্রিলের মধ্যে সেতুটি ট্রেন চলাচলের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে।
দ্বিতীয় ভৈরব সেতু প্রকৌশলী অমিতাভ দত্ত বলেন, ‘এইটা খুব সহজ কাজ নয়। আড়াই বছরে বার বার প্রশ্ন উঠেছে। তবে আমাকে দেওয়া সময়ের আগে কাজটি শেষ হবে।’
দ্বিতীয় ভৈরব সেতুর প্রকল্প পরিচালক বলেন, ‘সব দিক থেকে সব ধরণের কাজ দ্রুত চলছে।’
রেলওয়ের মহাপরিচালক জানান, সেতুটি নির্মাণের পর ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল পথের পুরো অংশ ডাবল লাইন হয়ে যাবে। এতে যাতায়াতের সময়সীমা কমে আসার পাশাপাশি ট্রেনের সংখ্যাও বাড়বে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে মহাপরিচালক মো. আমজাদ হোসেন বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল পথের পুরো অংশ ডাবল লাইন হলে ট্রেন একদিক দিয়ে আসবে একদিক দিয়ে যাবে। এতে করে আর রেল ক্রসিং থাকবে না। স্বাচ্ছন্দ্যে যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারবে।
আর রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক জানান এপ্রিল মাসের মধ্য প্রধানমন্ত্রী দ্বিতীয় ভৈরব রেল সেতুর উদ্বোধন করবেন।
রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, ‘এই প্রকল্পের ৯১% কাজ শেষ বাকি ৯% কাজ শেষ হলে মার্চ এপ্রিলে এই রেল সেতু প্রকল্পটি উদ্বোধন করা হবে।’
১২টি পিলারের ওপর নির্মিত ১ দশমিক ২ কি.মি. দৈর্ঘ্য এবং সাত মিটার প্রস্থ সেতুটিতে ডুয়েল গেজ লাইন থাকছে। সেতুটির নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৫’শ ৬৭ কোটি টাকা।