মেয়াদ থাকার পরও শোকের মাসে সম্মেলনের ঘোষণা, আশুগঞ্জ আ.লীগে উত্তেজনা, বহিষ্কার দাবী
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন কমিটির মেয়াদ থাকার পরও উপজেলা আওয়ামীলীগ এর আহবায়ক হাজি মো. ছফিউল্লাহ মিয়ার একক সিদ্ধান্তে ইউনিয়ন কমিটি গঠনের ঘোষণার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার দুপুরে আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের হলরুমে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা আওয়ামীলীগ এর যুগ্ম আহবায়ক-১ আবু নাছের আহমেদ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগ এর আহবায়ক হাজি মো. ছফিউল্লাহ মিয়া শোকের মাসে কারো সাথে কোন পরামর্শ ছাড়াই একক সিদ্ধান্তে ২৫ আগষ্ট কার্যকরি কমিটির সভা ডাকেন। সভায় উপজেলার সকলকে আমন্ত্রন জানানো হলেও উপজেলা ও ইউনিয়ন কমিটির নেতৃবৃন্দ সভা বয়কট করেন। ইউনিয়নের প্রতিটি কমিটির মেয়াদ আরো অন্তত ১১ মাস থাকার পরও সম্মেলনের ঘোষণা দেয়া অগণতান্ত্রিক ও আওয়ামীলীগ এর গঠনতন্ত্র পরিপন্থি। এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে উপজেলার কোন ধরনের সহিংসতা ও আইনশৃঙ্খলার কোন অবনতি হলে হাজি মো. ছফিউল্লাহ মিয়া দায়ি থাকবেন বলে হুসিয়ারী দেয়া হয়। এরপরেও যদি এমন কোন পরিস্থিতি তৈর করেন হাজি মো. ছফিউল্লাহ মিয়া তাহলে তা প্রতিহত করা হবে।
হাজি মো. ছফিউল্লাহ মিয়ার কোন নির্বাচনে আওয়ামীলীগ এর মনোনীত কোন প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়ার পরও ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া হানিফ মুন্সির বিরোধীতা করেন ছফিউল্লাহ মিয়া। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও তিনি আওয়ামীলীগ মনোনীত বিভিন্ন প্রার্থীর প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেন। এছাড়াও গত জাতীয় নির্বাচনে ছফিউল্লাহ মিয়া প্রকাশ্যে বিএনপির পক্ষে ভোট চান। এজন্য হাজি মো. ছফিউল্লাহ মিয়ার বহিষ্কার দাবি করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সাবেক সভাপতি হাজি মো. ফিরোজ মিয়া, আড়াইসিধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ.লীগ এর সভাপতি সেলিম মিয়া, তারুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি ইদ্রিস হাসান, শরিফপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো, সাইফ উদ্দিন চৌধূরী, দূর্গাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউল করিম খান সাজু, সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সালাউদ্দিন, চরচারতলা ইউনিয়নের সভাপতি আইয়ুব খান, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বকুল, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম স্বেচ্চাসেবকলীগের সভাপতি শাহীন শিকদার, ছাত্রলীগের সভাপতি মারুফ আহমেদ রনিসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে উপজেলা আওয়ামীলীগ এর দুগ্রুপের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।