নিষ্ঠুর পরকীয়ার বলি:: দুই মেয়েকে নদীতে ফেলে হত্যা : একজনের লাশ উদ্ধার
ডেস্ক ২৪:: পরকীয়া প্রেমের জেরে নিজের দুই মেয়েকে নদীতে ফেলে হত্যা করছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের মো. মনির হোসেন (৩২)। ১১ দিন রিমান্ড শেষে তিনি বুধবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সুলতান সোহাগের আদালতে ১৬৪ ধারায় তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
আশুগঞ্জ থানার এসআই নজরুল ইসলাম বলেন, উপজেলার শরীফপুর গ্রামের মনির হোসেন স্ত্রী ও তিন সন্তানের কথা গোপন করে অষ্টম শ্রেণির এক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্তও নেয়। মনির তার প্রেমিকার কাছে নিজেকে অবিবাহিত প্রমাণ করতে বিবাহিত জীবনের সব চিহ্ন মুছে ফেলার পরিকল্পনা করেন। সে অনুয়ায়ী ১৪ জানুয়ারি দুই মেয়ে মারিয়া (৬) ও সামিয়াকে (৪) ভৈরব ব্রিজে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বের হন। পরদিন একা বাড়িতে ফিরে আসে মনির। দুই মেয়ে কোথায় জানতে চাইলে স্ত্রী রত্নার সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। বিষয়টি শুনে এলাকার মানুষ গত ২৭ জানুয়ারি কৌশলে মনিরকে আটক করে পুলিশে দেয়।
এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, তারপর তিনি ভৈরবের একটি হোটেলে দুই মেয়েকে নিয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে বিকালে মেঘনার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুতে যান। পরে সুযোগ বুঝে দুই মেয়েকে নদীতে ফেলে দেন। ওই দিনই স্বামীকে আসামি করে মামলা করেন রত্না বেগম। তাদের ঘরে ৬ মাস বয়সী একটি ছেলেও আছে।
এদিকে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার মেঘনা নদী থেকে উদ্ধার করা সেই মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের কান্দাপাড়া এলাকার মনির হোসেনের ছোট মেয়ে মারিয়া আক্তারের (০৬)। খবর পেয়ে আশুগঞ্জ থানা পুলিশ ভৈরব থানায় যোগাযোগ করে ওই শিশুর পরনে থাকা জামা-কাপড় ও ছবি নিয়ে আসে। পরে রত্না বেগম ছবি ও জামা-কাপড় দেখে তার মেয়ে মারিয়া আক্তারের মরদেহ সনাক্ত করেন।