ট্রানজিটের প্রথম চালান আশুগঞ্জে
ট্রানজিটের আওতায় লোহা জাতীয় পণ্য নিয়ে প্রথমবারের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ আন্তর্জাতিক নৌবন্দরে নোঙর করেছে একটি ভারতীয় জাহাজ।
আজ বুধবার বেলা ১১টায় এমভি নিউটেক-৬ নামে একটি জাহাজ এক হাজার টন লোহা জাতীয় পণ্য নিয়ে আশুগঞ্জ বন্দরের মেঘনা নদীর মাঝখানে নোঙ্গর করে। বিকেলে জাহাজটির বন্দরে ভেড়ার কথা রয়েছে।
এর মাধ্যমে নৌ প্রটোকল চুক্তির আওতায় ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশর ওপর দিয়ে আশুগঞ্জ আন্তর্জাতিক নৌবন্দর হয়ে ভারতের ‘সেভেন সিস্টারর্স খ্যাত’ পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে শুল্কের বিনিময়ে পণ্য পরিবহন শুরু হবে।
আশুগঞ্জ আন্তর্জাতিক নৌবন্দরের পরিদর্শক মো. শাহ আলম জানান, বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতীয় এসব পণ্য পরিবহনে এই প্রথমবারের মতো প্রতি টনে ১৯২ টাকা ২২ পয়সা হারে মাশুল আদায় করা হবে। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ জাহাজের জন্য নির্ধারিত সব ধরনের চার্জ ও ফি ট্রানজিট পণ্য থেকে আদায় করবে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো। এর মধ্যে ভয়েজ পারমিশন ফি, পাইলট ফি, বার্দিং (অবস্থান) ফি, ল্যান্ডিং ফি, চ্যানেল চার্জ ও লেবার হোলিং মিলে ভারতের প্রথম ট্রানজিটের পণ্যবাহী এই জাহাজ থেকে বাংলাদেশ পাবে দুই লাখ ৯৫ হাজার ৩৬৫ টাকা। আশুগঞ্জ আন্তর্জাতিক নৌবন্দর থেকে এসব পণ্য স্থানীয় ট্রাকের মাধ্যমে লোড-আনলোড করে ভারতের ত্রিপুরাসহ সাতটি রাজ্যে পৌঁছে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌযান কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) জানিয়েছে, এর আগে পরীক্ষামূলকভাবে দুই দফায় ফি ছাড়াই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল এবং খাদ্যশস্য ট্রানজিট করেছিল ভারত। তবে আনুষ্ঠানিক ট্রানজিটের আওতায় এই প্রথম বাংলাদেশের আনবিস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড নামের একটি কোম্পানির তত্ত্বাবধানে জাহাজটি বন্দরে এসেছে। এক হাজার চার টন এসএস পণ্য নিয়ে কলকাতা থেকে গত ৩ জুন জাহাজটি রওনা হয়ে আজ বেলা ১১টায় আশুগঞ্জ আন্তর্জাতিক নৌবন্দরে এসে পৌঁছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুল্ক আদায়ের মাধ্যমে আশুগঞ্জ বন্দর ব্যবহার করে লোহা জাতীয় এসব পণ্য ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে পরিবহন শুরু করা হবে।
এ সময় নৌ পরিবহনমন্ত্রী মো. শাহাজাহান খান, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, ভারতের হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।