Main Menu

নাসিরনগরে বিদ্যালয় মাঠে হাঁটু জল, পাঠদান ব্যহত

+100%-

এম.ডি.মুরাদ মৃধা, নাসিরনগর প্রতিনিধিঃ  এটা কোন বন্যাকবলিত এলাকার দৃশ্য নয়। স্কুলের মাঠ দেখলে হয়ত অনেকেই মনে করবেন বন্যায় প্লাবিত কোন এলাকা বা কোন জলাশয়। সামান্য বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে বিদ্যালয়ের খেলার মাঠটি।
সরেজমিন ঘুরে গত ০৬ মে তুলা ছবি। জলাবদ্ধ স্থানটি একটি বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ। যেখানে খেলা করার কথা ছিল স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সেখানে খেলা করছে গৃহপালিত হাঁস। এলাকাবাসীর দাবী স্কুল মাঠের পানিতে যদি কোন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয় তাহলে কে এর দায়ভার বহন করবে। খেলার মাঠে পানি থাকায় ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা ও দৈনিক সমাবেশ (অ্যাসেম্বলি) থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
৬ মে রোজ শনিবার। তখন সকাল ১০টা। বিদ্যালয়ের ক্লাশ শুরু হলেও চোখে পড়ার মত নেই কোন শিক্ষার্থী। বিদ্যালয়টি ঘুরে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের তিন দিকে ঘড়বাড়ি এবং একদিকে রাস্তা। বিদ্যালয় মাঠটি চর্তুদিক থেকে নীচু হওয়ায় সামান্য বৃষ্টি হলেই চার দিক থেকে বৃষ্টির পানি এসে বিদ্যালয় মাঠ তলিয়ে যায়। পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এবং হাটু পর্যন্ত পানি পৌছে। যার ফলে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া কষ্টকর হওয়ায় ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতি আশঙ্কাজনখ ভাবে কমে গেছে। দীঘদিন পানি আটক থাকায় দুর্গন্ধ বের হয়ে ও বিভিন্ন পানি বাহিত রোগে শিক্ষার্থীদের আক্রান্ত হবার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
বিদ্যালয়ের পুরো মাঠ এখন জলাবদ্ধতায় নিমজ্জিত। ছাত্রছাত্রীদের দেখা যায় তাদের প্যান্ট হাঁটু পর্যন্ত উঠিয়ে স্কুল রুমে প্রবেশ করছে। ছোটদের জামাকাপড় ভিজা আর বড়দের অর্ধেক ভিজা। অনেক ছাত্র আবার খেলার মাঠের পানিতে মনের আনন্দে খেলা করছে। কারোও শরীরে কাদা মিশিয়ে উল্লাস করছে।
বলছিলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের কাহেতুরা গ্রামের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কথা। কুন্ডা ইউনিয়নরে এ গ্রামটি আধুনিক সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত। কাহেতুরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। ১৯১৯ সালে এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত। ৩৩ শতাংশ জমির উপর নির্মিত স্কুলটি। বিদ্যালয়ের মোট ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ৬৯৫। বিদ্যালয়ে শিক্ষকের সংখ্যা ৬।
কাহেতুরা বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী হেলেনা,জরিনা,শফিক ও রিমন দাস বলেন, প্রতি বছর এই দিনে সামান্য বৃষ্টি হলেই আমাদের স্কুলের মাঠ পানিতে ভরে যায়। আমরা নিয়মিত স্কুলে আসতে পারিনা। মা বাবা আমাদের আসতে দেয়না।
কাহেতুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইয়াদ হোসেন বলেন, কিছুদিন পুর্বেও সকাল হলে ছাত্রছাত্রীদের কলরবে মুখরিত হত বিদ্যালয় প্রাঙ্গন। আর এখন দুপুর গড়িয়ে গেলেও বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর কোন আনাগোনা নেই। নামে মাত্র কয়েকজন শিক্ষার্থী স্কুলে আসে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, সামান্য বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় স্কুলের খেলার মাঠ। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদ দ্রুত সময়ে মাঠের পানি নিঙ্কাশনের ব্যবস্থা করার।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার উম্মে সালমা বলেন, আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি অবহিত করেছি। আশা করছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি ভাল সমাধান পাব।






Shares