নাসিরনগরে পর্নোগ্রাফি আইনে পাঁচ বখাটের নামে থানায় মামলা
মোঃ আব্দুল হান্নান, নাসিরনগর প্রতিনিধি:- জেলার নাসিরনগর উপজেলায় আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রীকে অপহরন করে নির্জন স্থানে নিয়ে ছাত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক মোবাইল ফোনে অশ্লীল ছবি ধারণ করে বিভিন্ন মোবাইল ফোন ও ইন্টারন্যাটের মাধ্যমে ফেইসবুকে প্রচারের অপরাধে কুলিকুন্ডা গ্রামের কামরু মিয়ার ছেলে পল্লব চৌধুরী (২৫), মনু মোল্লার ছেলে শরিফ মোল্লা (২৪), নূর ইসলামের ছেলে শিপন মিয়া (২২), মরজু মৃর্ধার ছেলে জয়নাল মৃর্ধা (৩২), মঞ্জু মৃর্ধার ছেলে রাসেল মৃর্ধা (২২), ৫ বখাটের বিরুদ্ধে মামালা দায়ের হয়েছে। ২২ এপ্রিল ওই ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে নাসিরনগর থানায় মামলাটি রুজু করে।
মামলার বাদী চা ব্যবসায়ী মোঃ আফতাব মৃর্ধা জানায় মামলার পর আসামীরা মামলা প্রত্যাহারের জন্য বাদীকে অব্যাহত প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। তিনি আরো জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাকে সহযোগীতা না করে গোপনে আসামীর সাথে যোগাযোগ রাখছে। ওই মামলায় আসামী করার ভয় দেখিয়ে ঝাল মুড়ি ব্যবসায়ী সালু মিয়া নামে একজনের কাছে ১০ হাজার টাকা দাবী করা হয়েছে।
বর্তমানে ঝাল মুড়ি বিক্রেতা সালু মিয়া পলাতক রয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানা পুলিশের উপ- পরিদর্শক মোঃ মহি উদ্দিন সুমন তা মিথ্যা বলে দাবী করছে। ঘটনাটি ঘটেছে ১৪ ডিসেম্বর জেলার নাসিরনগর উপজেলা সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে। মেধাবী ওই ছাত্রীর নাম ছখিনা বেগম (চদ্দ নাম)। তার বয়স সাড়ে তের বছর। সে ২০১১সালে প্রাথমিক মিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ও ২০১৪ সালে জে.এস.সি পরীক্ষায় জিপি এ-৫ সহ ট্রেলেন্টপুলে বৃত্তি অর্জন করে।
বর্তমান নাসিরনগরে বখাটেদের উৎপাতের কারণে স্কুল কলেজ পড়–য়া ছাত্রী ও অভিভাবকদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সম্প্রতিকালে নাসিরনগর কয়েকটি উল্লেখ যোগ্য ঘটনার মাঝে রয়েছে বখাটের উত্যক্তর কারণে চার তলা থেকে লাফিয়ে পরে কলেজ ছাত্রী দিনার আত্মহত্যা। কুন্ডা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা।
চাতলপাড় ইউনিয়নের ফুলকারকান্দি গ্রামের কাজের মেয়েকে ধর্ষণ। বালিখোলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা। নাসিরনগর আশুতোষ উচ্চ বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী পর্নোগ্রাফি প্রকাশ। অত্র বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী কুলিকুন্ডা গ্রামের কিশোরীকে ধর্ষণ। বেরুইন গ্রামের কাজের মেয়েকে অপহরণের পর ধর্ষণ।