কৃষ্ণপুরে গণহত্যার ঘটনাস্থল আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ১১ সদস্যের তদন্ত দল পরিদর্শন
মোঃ আব্দুল হান্নান, নাসিরনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ- ১৯৭১ সালে হবিগঞ্জ জেলার, লাখাই উপজেলার, মোড়াকুরি ইউনিয়নের, কৃষ্ণপুর গ্রামে রাজাকার আলবদরা বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে ১২৭ জন নারী পুরুষকে হত্যা করে। সেই সময় অনেক নারী ও তরুনীকে ধর্ষণ করে তারা। ওই ঘটনায় গ্রামের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক হরি দাস বাদী হয়ে মোড়াকুরি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ লিয়াকত আলীর নামে মামলা করে। মামলার পর প্রভাবশালী আসামীদের ভয়ে বাড়ী থেকে পালিয়ে যায় ওই শিক্ষক। মামলাটি কয়েক দফা তদন্ত হয়। পূনঃ রায় এ মামলা তদন্তে ২৩ এপ্রিল আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মোঃ আব্দুল হান্নান খানের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের একটি তদন্ত দল ৩ দিনের জন্য সরজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও মতবিনিময় করতে আসেন। তদন্ত দল ২৩ মার্চ হবিগঞ্জ জেলার সার্কিট হাউজে, ২৪ মার্চ লাখাই উপজেলা হল রুমে মতবিনিময় শেষে ঘটনাস্থল কৃষ্ণপুর, পার্শ্ববর্তী গঙ্গানগর ও ফান্দাউক পরিদর্শন করে। ২৫ মার্চ সকাল ১০ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী মোয়াজ্জম আহম্মেদের সভাপত্তিতে এক মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিহ হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটি এম মনিরুজ্জামান সরকার, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ডাঃ রাফি উদ্দিন, নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুল কাদের, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অঞ্জন কুমার দেব, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লেঃ অবঃ গোলাম নূর, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান পদীপ কুমার রায়, উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ আমিনুল ইসলাম বেলায়েত, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মোঃ নাসিরনগর উদ্দিন রানা, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি নাসিরনগর উপজেলা শাখার সভাপতি সুজিত কুমার চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল হান্নান, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সুনিল দত্ত, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ আজহারুল হক সহ মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন রাজিৈনতক ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষক সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের লোকজন উপস্থিত ছিল। প্রধান তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল হান্নান খান বলেন হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক, হবিগঞ্জ নারী ও শিশু আদালতের পিপি এড. আবুল হাসেম মোল্লা মাসুম, মামলার বাদী ও স্বাক্ষীদের হুমকি ও বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। তার হুমকি মামলা তদন্ত কাজের অন্তরা হয়ে দাড়িয়েছে। আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রধান তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল হান্নান খান বলেন যারা অর্ন্তজাতিক ট্রাইব্যুনাল তদন্ত সংস্থা মামলার স্বাক্ষীদে বাধা দিবে তারা যারাই হউক তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ট্রাইব্যুনাল ব্যবস্থা নিবে। তিনি বলেন মামলার স্বাক্ষী মোঃ জুম্মান মিয়াকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার স্বাক্ষী জুম্মান মিয়ার সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমাকে প্রাণে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমি এ বিষয়ে নাসিরনগর থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করেছি। এ বিষয়ে এড. আবুল হাসেম মোল্লা মাসুমের সাথে মোবাইল ফোনে কয়েক বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।