নাসিরনগরে ফসলি জমির উপর ইট ভাটা স্থাপন ::অবাধে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ
নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ইট ভাটা গুলোতে মানা হচ্ছে ইট পোড়ানো নিয়ন্ত্রণ আইন। লোকালয় এবং ফসলি জমির উপর স্থাপন করা হচ্ছে ইট ভাটা। ইট ভাটার বিষাক্ত কালো ধোয়া আঘাত করছে সবুজ অরুণ্যে। আর এ সমস্ত ইট ভাটা দেদারছে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ।সরজমিন উপজেলা সদরের ধনকুড়া বিবাড়িয়া ব্রিকস , বুড়িশ্বর ইউনিয়নের আশুরাইল মামুন ব্রিকস,বুড়িশ্বরে বিরাসার ব্রিকস,অনন্তপুরের তিশা ব্রিকস,গোয়ালনগর ইউনিয়নের সোনাতুলা গ্রামের সুজন ব্রিকস, কুন্ডা ইউনিয়নের লংগন ব্রিকসসহ বেশ কয়েকটি ইট ভাটা ঘুড়ে দেখা গেছে এ সমস্ত ইট ভাটা বোরো ও তিন ফসলি জমির উপর স্থাপিত। এস সমস্ত অধিকাংশ ইট ভাটা পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। দেখা গেছে অধিকাংশ ইট ভাটায় বিক্রি হচ্ছে জমির উপরি ভাগের উর্বরা মাটি বা টপ সয়েল। ইট ভাটা মালিকদের দাবী কয়লা সংকটের কারণে কিছুদিন কাঠ পোড়ানো হলেও এখন আর হয়নি। ইট ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী ৫০টি বৃক্ষ বা ৫০টি পরিবার বসবাস করে এমন এলাকার তিন কি.মি. এর মধ্যে ইট ভাটা স্থাপন নিষিদ্ধ। গেজেটে উল্লেখ আছে দুই একরের বেশি কৃষি জমি ব্যবহার করা যাবে না। জ্বালানী হিসেবে কাঠ পোড়ানো নিষিদ্ধ, সরকারি এলজিইডির রাস্তা দিয়ে ইট ভাটার মালামাল বহন করা যাবে না। ইট ভাটার লাইসেন্স, আয়কর, পরিবেশের ছাড়পত্র, হাল নাগাদ করা ছাড়া ইট ভাটা চালানো নিষিদ্ধ। নাসিরনগরে এ আইন লঙ্গিত হলেও পরিবেশ অধিদপ্তর,কৃষি বিভাগ,বন বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের নেই কোন পদক্ষেপ। জেলা প্রশাসক,পরিবেশ অধিদপ্তরের এডি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও উপজেলা বন কর্মকর্তা বিনা নোটিশে যে কোন সময় ইট ভাটা পরিদর্শন করার ক্ষমতা রাখে। জানা গেছে প্রতি দশ হাজার তৈরি ইটের জন্য সরকারকে ২ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা রাজস্ব দিতে হয়। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে কোন ইট ভাটা ১০ লক্ষ ইট তৈরির অনুমতি থাকলেও এর দুই-তিন গুন ইট তৈরি করা হচ্ছে। এতে কোটি কোটি রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। সরজমিন দেখা গেছে কোন কোন ইট ভাটার ইট বহন করতে সরকারি খালের উপর বাধ সৃষ্টি করা হয়েছে। তিন ফসলি জমিতে অবস্থিত এ সমস্ত ইট ভাটার বিরুদ্ধে অচিরেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমেদ।