Main Menu

শিশুর লাশ আটকে টাকা হাতিয়ে নিল পুলিশ!

+100%-

মৃধা মুরাদ : ::ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে পানিতে ডুবে মারা যাওয়া শিশুর লাশ দাফনে বাঁধা দিয়ে ওই শিশুর পরিবারের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের।

শিশুর পরিবারের সদস্যরা জানান, বৃহস্পতিবার ভলাকুট ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে দুপুরে আরিফা আক্তার নামে ১৫ মাস বয়সী এক শিশু বাড়ির পাশে ডুবায় ডুবে মারা যায়। তবে শিশু মারা যাওয়ার বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ ছিল না। অথচ লোকমাধ্যমে খবর পেয়ে চাতলপাড় পুলিশ ফাঁড়ির তদন্তকারী কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার সিংহ দাফনের আগ মুহূর্তে বাড়িতে পৌঁছে ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ দাফন করা যাবে না বলে হুশিয়ারি দেন। পরে পুলিশের দাবিকৃত টাকা দেওয়ার পর লাশ দাফণের অনুমতি দেন।

নিহতের চাচা মো. বোরহান মিয়া অভিযোগ করে বলেন, বাজারে থেকে কাপনের কাপড় নিয়ে এসে দেখি বাড়িয়ে ৫ জন পুলিশ। তারা লাশের ময়নাতদন্ত করতে বলে। তখন আমরা বলি আমাদের সন্তান পানি ডুবে মারা গেছে। আমাদের কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগও নেই। তাহলে কেন লাশ ময়নাতদন্ত করতে হবে! তখন চাতলপাড় পুলিশ ফাঁড়ির তদন্তকারী কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার সিংহ বলেন লাশ ময়নাতদন্ত করতে ২০ হাজার টাকা লাগে। আমাদের ১৫ হাজার টাকা দিয়ে দাও তাহলে আর কোন সমস্যা হবে না। সাবেক ইউপি সদস্য শাফি মাহমুদ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিততে তার হাতে আট হাজার টাকা দেই।

টাকার বিষয়ে শাফি মাহমুদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশ টাকা নেওয়ার বিষয়টি জানার পর আমি চাতলপাড় পুলিশ ফাঁড়ির তদন্তকারী কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার সিংহকে ফোন করে বলি, পরিবারটি খুবই গরীব। আপনারাতো বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেক টাকা কামান। এদের টাকাটা ফেরত দিয়ে দেন। তখন ওই কর্মকর্তা টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দেন।
লাশ আটক রেখে টাকা আদায়ের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার সিংহের দাবি, লাশের চুরতহাল রিপোর্টের কাগজ নাসিরনগর সদরে পাঠাতে নৌকা ভাড়া বাবদ এক হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। আট হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগটি মিথ্যা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সরাইল সার্কেল মো. আনিসুর রহমান সমকালকে বলেন, যদি টাকা নেওয়ার বিষয়টি সত্য হয়ে থাকে তাহলে এটি পুলিশের জন্য লজ্জা এবং খুবই দুখজনক। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।






Shares