নাসিরনগরে হিসাব রক্ষণ অফিস, ঘুষ ছাড়া বিল ছাড় না হওয়ার অভিযোগ
এম.ডি, মুরাদ মৃধা,নাসিরনগর,হতে: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর হিসাবরক্ষণ কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও অডিটরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভিন্ন সরকারী অফিসরে কর্মকর্তা ও কর্মচারী জানান ঘুষ ছাড়া কোন বিল ছাড় করেন না। তাদের চাহিদামত ঘুষ দিতে অস্বীকার করলে বিভিন্ন সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নানা অজুহাতে দিনের পর দিন সেবা নিতে আসা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হয়রানী করেন।
হিসাবরক্ষণ অফিসার কর্তৃক জোরপূর্বক নেয়া টাকা ফেরতসহ হয়রানী থেকে মুক্তি চেয়ে সেটেল্টমেন্ট অফিসরে কতিপয় নাইট গার্ডকাম ঝাড়–দার হিসাব-মহা নিয়ন্ত্রক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
নাসিরনগরের বিভিন্ন অফিসরে কর্মকর্মাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অফিসের ভ্রমণ বিলে ২০%,এরিয়া বিলে ৩০% ৪০% তাকে দিতে হয়।সাবেক হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ কামাল হোসেন নাসিরনগর হিসাব রক্ষণ অফিসে যোগদানের পর বিভিন্ন হয়রানী বহুগুনে বেড়ে যায়।
উল্লেখ্য সেটেল্টমেন্ট অফিসের কতিপয় গার্ডকাম ঝাড়–দার বলেন, আমার বেতন ভাতা নিয়ে অডিটর আবদুল লতিফের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার নামে এ বিলে দুই হাজার টাকা দাবি করে এবং দাবিকৃত টাকা পরিশোধ করার পর জুলাই মাসের বেতন অনুমোদন করেন। পরবর্তীতে সেপ্টেম্বর‘১৬ ও অক্টোবর‘১৬ মাসের বিল পাসের সময় ৪ হাজার টাকা দাবি করেন। এবং জোরপূর্বক জুলাই‘১৬,সেপ্টেম্বর‘১৬ ও অক্টোবর‘১৬ এই তিন মাসের বেতন থেকে ৬ হাজার টাকা আদায় করেন।
এ ব্যপারে অভিযুক্ত সাবেক উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা কামাল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তার ও অডিটরের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবী করেন। সহকারী সেটেলমেন্ট কর্মকর্তার প্রায় ৩ লাখ ১৯ হাজার টাকার একটি এরিয়া বিল দাখিল করে। উক্ত বিলে সই না করায় অফিসের কতিপয় নাইট গার্ডকাম ঝাড়ুদারকে দিয়ে একটি মিথ্যা আবেদন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ লিয়াকত আলীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমরা কোন অফিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।