Main Menu

নাসিরনগরে স্বপ্নের ফসল পানির নীচে তলিয়ে যাওয়ায় দিশেহারা কৃষক

+100%-

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে অন্তত ২০০ হেক্টর ধানি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে বলে জানিয়ছেন কৃষকরা। গত তিনদিন ধরে নদ-নদীগুলোর পানি বাড়ার ফলে নাসিরনগর সদর, ভলাকুট, বুড়িশ্বর, গোয়ালনগর, পূর্বভাগসহ অন্তত ৬টি ইউনিয়নের হাওর এলাকার জমিগুলো পানিতে তলিয়ে যায়।স্বপ্নের ফসল পানির নীচে তলিয়ে যাওয়ায় দিশেহারা কৃষক। উপায়ন্তর না পেয়ে হাটু পানি ও কোমর পানিতে নেমে আধাপাকা ধান কেটে ঘরে তুলছেন তারা।

চলতি মৌসুমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় মোট ১৭ হাজার ৩১২ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ করা হয়েছে। যার মধ্যে ১১ হাজার ২৩ হেক্টর জমিই হাওর অঞ্চলে। তবে গত তিনদিন ধরে সুনামগঞ্জ থেকে নেমে আসা ঢলে নদ-নদীগুলোর পানি অন্তত দুই ফুট বেড়ে যাওয়ায় নদী ও বিল এলাকা সংলগ্ন জামিগুলো পানির নীচে তলিয়ে যায়।

কৃষি বিভাগ জানায়, ঢলের কারণে উপজেলার গোয়ালনগর, ভলাকুট, বুড়িশ্বর, নাসিরনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার হাওরের ধানী জমিসহ হরিপুর, কুন্ডা, গোর্কণ ও পূর্বভাগ ইউনিয়নের তিতাস নদীর তীরবর্তী আকাশী হাওরের অনেক জমির ধান তলিয়ে গেছে। পানি বাড়ার বিষয়ে পূর্বভাস থাকায় অন্তত ৮০ ভাগ ধান পাকলেই কৃষকদের ধান কাটতে বলা হয়। এ ঘোষনা অনুযায়ী যারা ধান কেটেছে তাদের কোন সমস্যা হয়নি। তবে সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ি নাসিরনগরে ২০০ হেক্টরের মত ধানি জমি তলিয়ে গেছে।

এতে করে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে আধাপাকা ধান কেটে ফেলছে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা জানান, লাভের আশায় ধার-দেনা ও ঋণ করে জমি আবাদ করা হলেও ঢলের কারণে তাদের সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে। প্রতি কানি জমি আবাদ করতে তাদের ৪/৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। জমি আবাদ করতে তাদের যে খরচ হয়েছে। প্রাপ্ত ধান থেকে তা মিটানো সম্ভব নয়। তারা এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

কৃষক ইউনুছ আলী বলেন, উজানের পাহাড়ি ঢল আমাদের সর্বশান্ত করেছে। আর কয়েকটা দিন সময় পেলেই ধান কেটে বাড়িতে তেলা যেতো। কিন্তু উজান থেকে নেমে আসা পানি আমাদের সবকিছু নিয়ে গেছে।

কৃষক মতিলাল দাস জানান, টাকা ঋণ নিয়ে তিনি ধান চাষ করেছেন। গত কয়েকদিন ধরে হাওরে পানিতে তার অধিকাংশ জমি তলিয়ে গেছে। কিছু ধান আধাপাকা অবস্থাতেই কেটেছেন তিনি।

তবে নাসিরনগর উপজেল কৃৃষি কর্মকর্তা আবু সাঈদ তারেক জানান, পানিতে তলিয়ে যাওয়া জমির পরিমাণ ৪০ হেক্টরের বেশি হবে না। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়ার জন্য তাদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সংশ্লিষ্টরা দ্রত পদক্ষেপ নিবেন এমন প্রত্যাশা ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের।






Shares