নাসিরনগরে পরিকল্পিতভাবে নৌকার মাঝিকে হত্যার অভিযোগ



মোঃ আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর:: জমিজমা সংকান্ত পারিবারিক বিরোধের জের ধরে নাসিরনগরে পরিকল্পিতভাবে এক নৌকার মাঝিকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাঝি মো: ফিরুজ মিয়া(৪০) সে নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের মনকোটা গ্রামের মৃত-হাজী আব্বাস আলীর ছেলে।
নিহতের স্ত্রী রিনা বেগমের মামলার অভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ফিরুজ মিয়া ভলাকুট গ্রামের আলমগীর হোসেনের “আল্লাহর দান” নামক ভাড়াটে নৌকার(স্টীলের তৈরি) মাঝি হিসেবে কাজ করত। ১লা অক্টোবর সকালে চাতলপাড় চক বাজার হতে নৌকা সহ আলমগীর হোসেন,শাহাজান মিয়া, আশিক মিয়া, নেহা আলম, ফারুক মিয়া, শরিফ মিয়া, অলি মিয়া, সহ আরো অজ্ঞাত ৪/৫ জন সহযোগী নিয়ে সুনামগঞ্জ জেলাধীন ছাতকের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। তারা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে একই দিন বিকাল সাড়েটায় ইটনা থানার কুলি ভিটার ধনু নদীতে পৌছে ফিরুজ মিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধাক্কা দিয়ে নদীতে ফেলে দেয়। তারপর হত্যাকারীরা নদীতে নামিয়া ফিরোজ মিয়াকে পানিতে চুবাইযা মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ নদীতে ফেলে চলে যায়।পরে তারা ইটনা জোটঘাটে নৌকা রেখে সকলে পালিয়ে যায়।
৩ অক্টোবর এলংজুড়ি বাজার ঘাটের উত্তর পাড় হতে ফিরোজ মিয়ার লাশ উদ্বার করে ইটনা থানা পুলিশ ।
৪ অক্টোবর নিহতের স্ত্রীর দাখিলকৃত জিডিনং ৬৮ ও ৮৩ মুলে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৫৪ ধারায় আসামী অলি মিয়া কে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে ইটনা থানা পুলিশ।পরে আদালত অলি মিয়াকে কিশোরগঞ্জ জেলহাজতে প্রেরণ করেন।বর্তমানে মামলা তুলে নিতে বাদীনিকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে আসামী পক্ষের লোকজন।আসামীদের অব্যাহত হুমকিতে বাদীনি ও তার পরিবারের লোকজন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ।