সরাইলে মা হারানোর বেদনায় কাতর দু‘শিশু
মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মা হারানোর বেদনায় কাতর শিশু আদিব ও নাজিবা। ফুটফুটে দুই শিশু। কিছু বুঝে উঠার আগেই হারিয়েছে তাদের মমতাময়ী মাকে। ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে গত শনিবার(১৯জুন) বাদ মাগরিব পৃথিবীর সকল মায়া ছিন্ন করে নিয়তের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেছেন না ফেরার দেশে। আজ রোববার(২০জুন) সকাল ৯টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে তাঁকে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের গলানিয়া গ্রামে।
সে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্য। স্বজন হারানোর বেদনায় কাতর বাড়ির সকলের কান্না যেন থামছিল না। শোকাহত পরিবারের লোকজনকে শান্তনা দেওয়ার ভাষা যেন নেই কারও । মৃতের দুই মেয়ে ও দুই ছেলের মধ্যে আদিব ও নাজিবা সকলের ছোট।
প্রিয় মাকে হারিয়ে বড় এক মেয়ে ও এক ছেলে কান্নায় বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন। তারা ঘরের এ কক্ষ থেকে ঐ কক্ষে কেবল ছুটাছুটি করছে আর কেবল মাকেই খুঁজছে। মাকে যে কেবল মাত্র কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে তাও যেন বুঝতে নারাজ তারা। নিষ্পাপ দেহে অপুলক চাহনিতে কেবল মায়ের স্মৃতিকেই মনে করছে কিন্তু মা যে আর ফিরে আসবে না এমনটা হয়ত ভাবতেও পারছে না অবুঝ এই দুই শিশু।
জানাযা পড়িয়েছেন মৃতের স্বামী নিজেই। জানাজা পূর্ব আলোচনায় স্বামী মৃত স্ত্রীর লাশ সামনে রেখে বললেন আমার,অবুঝ শিশু বলছে তারঁ মাকে বালিশ ছাড়া শুয়ে রাখা হয়েছে কেন। অবুঝ শিশুর প্রশ্নের যে কেউ উত্তর দিতে পারছেন না। মৃত স্ত্রীর প্রশংসা করে স্বামী বলেন আমার স্ত্রীর দুটি গুনের কথা না বললে আমার মন শান্ত হবে না। তার একটি হল সে কোনোদিন মোবাইলে বেগানা কারও সাথে কথা বলতেন না এমনকি বেগানা পুরুষের চেহারাও দেখতেন না সেই সাথে পর্দার সাথে ধার্মিক জীবন অতিবাহিত করেছেন।
মারা যাওয়ার মুহূর্তে তার প্রতিটা শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে আল্লাহ শব্দ উচ্চারিত হতে শুনেছি। স্বামী হিসেবে আমি তার প্রতি রাজি আল্লাহ যেন তার প্রতি রাজি হয়ে যান সকলে দোয়া করবেন বলে জানাজা পড়িয়েছেন তিনি নিজেই।
সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের গলানিয়া গ্রামের মাওলানা হাফেজ মুশাররফ হুসাইন সাহেব এর সদ্য মৃত স্ত্রী ও মা হারিয়ে এতিম হয়ে যাওয়া তার সন্তানদের কথা।
সরাইল সৈয়দটুলা পশ্চিমপাড়া আমাদের জামে মসজিদের খতিব হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন ।