সরাইলে বিক্রেতার বিরুদ্ধে ক্রেতার অভিযোগ
মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের জমি বিক্রেতা মোঃ নুর জাহের এর বিরুদ্ধে ক্রেতার জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। জমি কিনে এখন দখল না পেয়ে তিনি ঘুরছেন শালীসকারক দের দ্বারে দ্বারে। ক্রেতা ফজলুল হক আশুগঞ্জ উপজেলার মৈশার এলাকার বাহাদুরপুর গ্রামের জয়ধর আলীর ছেলে ।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন ক্রেতা ফজলুল হক। বর্তমানে মামলা চলমান রয়েছে ।
ক্রয়সূত্রে মালিক ফজলুল হক জানান, কালিকচ্ছ ইউনিয়নের চাঁনপুর মৌজার ৬৮১৩ , ৬৮১৪ দাগ নম্বরে ৬৪ শতাংশ জায়গা খরিদ করে নুর জাহের এর কাছ থেকে। নুর জাহের ২০০৬ সালে ৬৪ শতাংশ ফসলি জমি ৬৭ হাজার টাকার বিনিময়ে দলিল সম্পাদন করে দেন। কয়েক বছর জমির ফসলের অংশ দিলেও এখন তা দিচ্ছেনা । বর্তমানে নুর জাহের জমি দখল বুঝিয়ে না দিয়ে জমি শাহিন ব্রিকস নামে এক ইটভাটায় ভাড়া দিয়েছেন ।
স্থানীয় বাসীন্দা মানিক মিয়া বলেন, সালিশ কারক নুর জাহের জাল দলিল করে দেয় ফজলুল হক কে। এই বিষয়ে অনেক সালিশ বৈঠক হয় গ্রামে সালিশে রায় মেনেও নেন নুর জাহের। সালিশের পরে দেম দিচ্ছি বলে আর দেয় না। যেখানে শাহিন ব্রিকফিল্ড হইছে সেটি ফজলুল হকের নিজস্ব জায়গা।
ফজলুল হকের মেয়ের জামাই আব্দুর রউফ বলেন, আমার শ্বশুর ২০০৬ সালে নুর জাহের কাছ থেকে ৬৪ শতাংশ জায়গা কিনে। চেয়ারম্যানের মাধ্যমে অনেক সালিশ সভা হয়েছে। সালিশের পরে এসে জায়গা দখল দেয় না। তাই আমরা বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছি।
ভুক্তভোগী ফজলুল হক বলেন, জমি ক্রয়ের পর আমাকে নুর জাহের কয়েক বছর যাবৎ ওই জমির ফসলের অংশ দিয়েছে। এখন আমাকে জমি দখলে যেতে দিচ্ছে না। সে আমার ক্রয়কৃত জমি শাহিন ব্রিকস নামের ইটভাটায় বছরে ৪০হাজার টাকায় ভাড়া দিয়েছে। সে আমার জমি দখল বুজিয়ে দিতে তালবাহানা করছে। পরে আমি জানতে পারি সে জমির দাগ নাম্বার ভুল দিয়ে আমাকে দলিল সম্পাদন করে । এনিয়ে বেশ কয়েকবার এলাকায় সালিশসভা হয়েছে। কিন্তু সে সভায় সবকিছু মেনে আসার পরেও জায়গা ফেরত দিচ্ছেন না ।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে নুর জাহের বলেন,আমি তাকে ৫০ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছি। তার কাছে জায়গা বিক্রির কথা জানতে চাইলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি প্রসঙ্গ এড়িয়ে কথা বলেন।