সরাইলে নদীর দখল করে মাছ শিকারের অভিযোগ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে



মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল:ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে নদীর দখল করে মাছ শিকারের অভিযোগ এক ইউপি সদস্য মো সাবাছ আলীর বিরুদ্ধে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগাঁও ও কালীশিমুল দুই গ্রামের মধ্য দিয়ে পূর্ব প্রান্ত থেকে শুরু হয়ে নদীটি তিতাস নদী দিয়ে মেঘনা নদীর সঙ্গে মিশেছে।
নদীরটি প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ জুড়ে প্রায় ১০টি জায়গায় বাঁশ ও ঢালপালা দিয়ে মাছ শিকার করার ফাঁদ পেতেছে স্থানীয় আছন আলীর ছেলে ও ৫ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য সাবাছ আলী। কোড়টি সরকারি হলেও ইজারা ছাড়া কিভাবে দখল করে মাছ শিকার করার জন্য ঘের দিয়েছে স্থানীয়দের প্রশ্ন?
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক ব্রাহ্মণগাঁও ও কালীশিমুল গ্রামের একাধিক ব্যক্তি বলেন, অতীতেও তিনি অনেক অপকর্মের সাথে জড়িত ছিলেন। এখন তিনি মেম্বার হয়ে আবার সেগুলো শুরু করেছেন। সাবাছ আলী মেম্বার তার সাথে লোকজন নিয়ে কোড়টি দখল করে রেখেছে। কেউ সাহস পাইনা সাবাছ আলীর সামনে কথা বলতে। তার ভয়ে এলাকার মানুষ মূখ খুলতে পারেনা। মসজিদের নাম ভাঙ্গিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। এই কোড় থেকে আগে কত মাছ শিকার করতাম, এখন সবই সপ্ন।
কোড় দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য সাবাছ আলী বলেন, এর সঙ্গে আমি কোনরকম জড়িত নই। এলাকার কিছু মুরুব্বি যুবক মিলে কোড় থেকে মাছ শিকার করে। ঐ টাকা গুলো তাদের দুই গ্রামের চারটি মসজিদে সমান ভাবে ভাগ করে নেন। তাতে করে মসজিদের উপকার হয়।
এব্যাপারে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও) মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দিন বলেন, ব্রাহ্মণগাঁও যে কোড়টি আমরা কোন লিজ দেই নাই। যদি কেউ দখল করে থাকে তাহলে আমরা তার যতাযত ব্যবস্থা নেব।