সরাইলে দোকান কর্মচারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের ছৌদন্ত গ্রামের পরিতোষ দাসের ২য় ছেলে।
অপূর্বর চাচা রামপ্রসাদ দাস বলেন, যে দোকানে লাশ পাওয়া গেছে, ওই দোকানে সে কর্মচারী ছিল। সে টেইলার্সের কাজ করত। বাড়িতে নিয়মিত আসা যাওয়া করত। কয়েকদিন আগে সে বাড়ি থেকে আসছে। তবে অপূ্র্ব কেন আত্মহত্যা করেছে, তা বোঝা যাচ্ছে না।
পুলিশ, দোকান মালিক ও স্থানীয় সূত্র জানায়, চার মাস আগে অপূর্ব অরুয়াইল বাজারের সঞ্জিত রায়ের টেইলার্সের দোকানে কর্মচারীর হিসেবে কাজ করত। রাতে সে দোকানেই একা থাকত। গতকাল সকাল সাতটার দিকে সঞ্জিত রায়ের ছেলে সম্পদ রায় দোকানে গিয়ে অপূর্বকে দোকান খুলতে ডাকাডাকি করলে সাড়া না দেয়ায় দরজায় ধাক্কা দিলে, দরজা খুলে গেলে ফ্যানের সাথে ফাঁস দিয়ে অপূর্বকে ঝুলতে দেখে তার বাবাকে খবর দেন। খবর ছড়িয়ে পড়লে দোকানের চারদিকে মানুষ ভিড় করতে থাকে লাশ দেখার জন্য। বেলা ১১টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
অরুয়াইল বিটের উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বলেন, এটি আত্মহত্যা বলে প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুৃইয়া বলেন,’এটি আমার বাজারের ঘটনা।ছেলেটি সঞ্জিতের দোকানে কাজ করত। সরেজমিনে গিয়ে দেখে মনে হল ছেলেটি আত্মহত্যা করেছে।