ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনোত্তর সহিংসতা
সরাইলে জেলা পরিষদ নির্বাচনের সদস্য প্রার্থী মনিরুল ইসলামের উপর হামলা
মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে প্রার্থী মো. মনিরুল ইসলামের উপর হামলা । পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে অপর প্রার্থী লোকজন। আহত অবস্থায় তিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত শনিবার সকাল ১০টায় ১০/১৫জন যুবক চুন্টা এলাকায় তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে প্রকাশ্যে হামলা চালায় । এসময় মনিরুল ইসলামকে মারধর করে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, চুন্টা ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলমান মিয়া । মনিরুল ইসলাম ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি। জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩নং ওয়ার্ডের (সরাইল) সদস্য পদে সোলায়মান মিয়া ও মনির দুজনই প্রার্থী হন । গত বুধবার সরাইলে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হয় , সদস্য পদে নির্বাচন হয়নি। নির্বাচন সংশি¬ষ্ট কর্মকর্তারা ইসি’র লিখিত নির্দেশে সরাইলে সদস্য পদের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন। এ ঘোষণার পর সদস্য পদের প্রার্থীরা ক্ষুদ্ধ হন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে চুন্টা বাজারে সোলায়মান মিয়ার লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মনিরের উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে। স্থানীয় কিছু গণ্যমান্য লোক উপস্থিত থাকায় তারা হামলা করতে পারেনি। বিষয়টি ইউপি সদস্য আক্তার মিয়া ও সাবেক ইউপি সদস্য লতিফ মিয়াকে ওই রাতেই অবহিত করা হয়। আজ সকালে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ১০/১৫ জন যুবক মনিরের উপরদেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রকাশ্যে হামলা চালায়। লোহার রড, দা, বল্লম, চাপাতি ও লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে মনিরকে গুরুতর আহত করে। লোকজন তাকে উদ্ধার করে সরাইল হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি দেখে তাকে দ্ররুত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। আহত মনিরের মেয়ে তানিয়া বেগম (২৪) বলেন, আমার বাবার অপরাধ একটাই সে কেন নির্বাচনে প্রার্থী হল। গত বৃহস্পতিবার রাতে আব্বাকে তারা মারতে চেষ্টা করল। বিষয়টি জেনেও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ কোন ব্যবস্থা নেয় নি । এখানে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির ইন্ধন রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। আমরা ন্যায় বিচার চাই ।
সরাইলের( ৩নং ওয়ার্ড) সকল পর্যায়ের নেতা কর্মী ও জনগনের দাবি, আগামী নির্বাচনে মনিরুল ইসলাস সহ সকল প্রার্থী যাতে সুষঠভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে এ দাবী করেছেন।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুপক কুমার সাহা বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত আমার কাছে লিখিত কোন অভিযোগ আসেনি, অভিযোগ পাওয়ার পর ব্যবস্থানেব ।