সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে ভাংচুর।



মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল । ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে ভাংচুর চালিয়েছে রোগীর স্বজনরা। সরাইল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬:৩০টার দিকে উপজেলার তেরো কান্দা এলাকা থেকে মহিষের আঘাত নিয়ে চৈতি নামে এক শিশু রোগী আসে। শিশুটির শরীরের বিভিন্ন যায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। তখন জরুরি বিভাগে অন্য রোগীরও চিকিৎসা চলছিল। এসময় শিশু রোগীর শরীরের রক্ত দেখে তার মা নুরুন নাহার জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তারা রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। এরপর রোগীর সাথে আসা তেরো কান্দা এলাকার এইচ এম বাবুল মিয়া এবং মোস্তাকিম সহ আরো ৭-৮ জন অতর্কিত হামলা চালিয়ে জরুরি বিভাগের চেয়ার টেবিলে ভাংচুর চালায়, এছাড়াও খাতা পত্র ছুড়ে ফেলে দেয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকের ওপর হামলা করতে তেড়ে যায়।
সরাইল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত ব্রাদার রাজিব হোসেন রাজু বলেন, রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেরণ করার পরেই জরুরি বিভাগে ভাংচুর চালায়। কর্তব্যরত চিকিৎসকের ওপর হামলা চালাতে তেড়ে আসে পরে আমরা তাদের থামানোর চেষ্টা করি। পরে হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে খবর দিলে স্যার পুলিশকে জানায়। পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে সবকিছু দেখে যায়।
এই বিষয়ে এইচ এম বাবুল মিয়া’র মুঠোফোনে জানতে চাইলে তাকে পাওয়া যায়নি। সরাইল থানার উপ-পরিদর্শক জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাঃ নোমান মিয়া বলেন, সন্ধ্যা ৬:৩০টার দিকে মহিষের আঘাত নিয়ে একটি বাচ্চা হাসপাতালে আসে তাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। এসময় মেয়েটির সাথে থাকা মহিলা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে তাকে পাশেই দেখতে গেলে এইচ এম বাবুল এবং মোস্তাকিম নামের দুই ব্যক্তি কর্তব্যরত চিকিৎসক এবং জরুরি বিভাগে হামলা চালায়। এই বিষয়ে সরাইল থানায় সাধারণ ডায়েরি করার প্রস্তুতি চলছিল ।