Main Menu

সরাইল উপজেলা প্রশাসন মুদ্রিত স্বাধীনতা দিবসের নিমন্ত্রণপত্রে মৃত ও প্রবাসী ব্যক্তির নাম!

+100%-

মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল ॥ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপনের জন্য কাজ করছে সরাইল উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু দিবসটি পালনের জন্য তৈরী রেজুলেশন ও নিমন্ত্রণপত্রে ভুলে ভরা। উপকমিটির তালিকায় স্থান পেয়েছে মৃত ব্যক্তি ও প্রবাসীরা। সদস্যকে সভাপতি, সম্পাদককে যুগ্ম সম্পাদক, গায়েবী বিশেষণ সহ অগণিত ভুল। নিমন্ত্রণপত্রে ৩০টির ও অধিক ভুল তাক লাগিয়েছে অনেককে।
রেজুলেশন ও নিমন্ত্রণপত্র পড়ে দেখা যায়, সীমাহীন ভুল। উপজেলা কমিউনিষ্ট পার্টির সভাপতি রফিকুর রহমান মারা গেছেন ২০১৫ সালের ৭ অক্টোবর। মৃত্যুর সাড়ে ৩ বছর পর এবারকার ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের তাৎপর্য এবং দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি’ বিষয়ের আলোচনা উপকমিটির ১১ নাম্বার সদস্য করা হয়েছে তাকে (মৃত রফিকুর রহমান)। বিশ্বরোড মোড় শাখা শ্রমিকলীগের সভাপতি রাসেল মিয়া মারা গেছেন ২০১৪ সালের ১লা এপ্রিল। দাফনের ৫ বছর পর এবার স্বাধীনতা দিবস উৎযাপনের ‘জাতীয় পতাকা উত্তোলন মনিটরিং’ উপকমিটির ২৩ নং সদস্য তিনি (মৃত রাসেল)। ৩ বছর আগে প্রবাসে চলে গেছেন উপজেলা যুবদলের সম্পাদক জহিরুল ইসলাম। এখনো প্রবাসী তিনি। অথচ ‘চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা’ উপকমিটিরি তালিকার ১৩ নাম্বার সদস্য জহিরুল। দৈনিক ইত্তেফাকের সরাইল সংবাদদাতা জুলকার নাঈন সরাইল প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ২০১৭ সালের ২৫ ডিসেম্বর। অথচ উনার নামের পরে লেখা রয়েছে দপ্তর সম্পাদক। সদস্য সামছুল আরেফিনকে লেখা হয়েছে সহ-সভাপতি। ‘দৈনিক খবর’ পত্রিকার সরাইল প্রতিনিধি মোহাম্মদ মাসুদের নামের রয়েছে বাংলাবাজার পত্রিকার নাম। ২/৩টি রাজনৈতিক দলের পদ পদবীতে রয়েছে ভুল। সাবেক সভপতিকে দেখানো হয়েছে বর্তমান সভাপতি। একজনের নামের পরে আরেকজনের গায়েবী পদ। সরাইল উপজেলা আ’লীগ চলছে ২০১৪ সালের অনুমোদিত একটি আহবায়ক কমিটি দিয়ে। অথচ জনৈক দুলাল মিয়ার নামের পরে লিখেছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্পাদক। এছাড়া নিমন্ত্রণ পত্রে রয়েছে ৩০টিরও অধিক ভুল। ‘সরকারি’ এর স্থলে ‘সরকারী’, ‘লাশের’ স্থলে ‘লাস’, ‘পাহাড়ের’ স্থলে ‘পাহার’, ‘ঠাঁই’ এর স্থলে ‘ঠাই’, ‘দিনব্যপী’ এর স্থলে ‘দিনব্যাপি’, ‘বনাম’ এর স্থলে ‘বনাব’, ‘তাৎপর্য’ এর স্থলে ‘তৎপর্য’, ‘প্রাঙ্গণ’ এর স্থলে ‘প্রাঙ্গন’, ‘স্মরণ’ এর স্থলে ‘স্নরণ’, ‘ইমাম’ এর স্থলে ‘ইমান’ ও ‘উচ্চবিদ্যালয়’ এর স্থলে ‘উচ্চ বিদ্যালয়’ লিখেছেন। এমনই ভাবে ৩০ এর অধিক ভুল রয়েছে নিমন্ত্রণপত্রে।

এ প্রসঙ্গে সরাইল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল বলেন, এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ দিবসের নিমন্ত্রণপত্রে এতগুলো ভুল মোটেও কাম্য নয়। দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের এ বিষয়ে ভবিষ্যতে আরো সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।

সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এস.এম মোসা কিছু ভুল থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা কর্মচারীদের বারবার সতর্ক করার পরও ভুল করে যাচ্ছে। এ গুলো তো গতানুগতিক বিষয়। কেন তারা এত ভুল করছে বুঝতে পারছি না। এগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যায়। দেখি সংশোধন করে আবার বিতরণ করা যায় কিনা। তবে ভবিষ্যতের জন্য তাদেরকে সতর্ক করে দিব।






Shares