টানা ৮ ঘন্টা অন্ধকারে সরাইল
সরাইল প্রতিনিধি: ভাদ্রের বিদায় ও আশ্বিন মাসের আগমনের সময়ে সপ্তাহ ধরে প্রচন্ড তাপদাহ বিরাজ করছে সারাদেশে। এরই মধ্যে সরাইলে বিদ্যুতের ঘনঘন যাওয়া-আসা অতিষ্ঠ করে তুলেছে। ভোল্টেজ সমস্যা তো আছেই।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সামান্য বৃষ্টিপাত হয়। রাত ৮টায় চলে যায় বিদ্যুৎ। ২-৩ ঘন্টা পরও বিদ্যুৎ আসার কোন খবর নেই। চারিদিকে শুরু হয়ে যায় লোকজনের হ্যাঁ হুঁতাশ। চার্জ ফুরিয়ে আইপিএস ও এক সময় অকার্যকর হয়ে যায়। বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বশীল লোকদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করতেও দেখা দেয় বিড়ম্বনা। সে সময় একাধিক লাইনম্যানের মুঠোফোন ছিল বন্ধ। ২-১ জন জানান ঘন্টা খানেকের মধ্যেই চলে আসবে বিদ্যুৎ। কিন্তু সারারাতেও দেখা মিলেনি বিদ্যুতের। টানা ৮ ঘন্টা গোটা সরাইল থাকে অন্ধকারে। ভ্যাঁসপা গরমে পুরো রাত বিদ্যুৎ না থাকায় জনজীবনে ওঠে নাভিশ্বাস। বিশেষ করে প্রত্যেক পরিবারের শিশুদের কষ্টে নির্ঘুম রাত কাটাতে হয় মা বাবাকে। সরকারি ও বেসরকারি হাসাপাতালের রোগীদের রাতকাটে চরম দূর্ভোগে। এতে রোগীদের রোগ আরো বেড়ে যায়। অনেক পরিবারের ফ্রিজের মালামাল নষ্ট হয়ে যায়। পরেরদিন অর্থাৎ গত শুক্রবার ভোর ৪টা ১০ মিনিটে দেখা মিলে বিদ্যুতের। একাধিক সূত্র জানায়, রাত ১২টা পর্যন্ত লাইনের কোথায়? এবং কি সমস্যা? তা চিহ্নিতই করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
সরাইল পিডিবি’র নির্বাহী প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ) মো. মাঈন উদ্দিন জুয়েল বলেন, কতক্ষণ বিদ্যুৎ ছিল না তা রেজিষ্ট্রার দেখে বলতে হবে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জের সোনারামপুর এলাকায় একটি পুরাতন খুঁটি ধ্বসে পড়েছিল। তাই কাজ করে লাইন চালু করতে সময় লেগেছে।