জাতীয় শোক দিবস নেই হাজী মুকসুদ আলী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে
মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল ॥ গতকাল ১৫ আগষ্ট ছিল রাষ্ট্রীয় ভাবে স্বীকৃত জাতীয় শোক দিবস। ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগষ্টের কাল রাত্রিতেই হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। উপজেলার প্রশাসনের সাথে সময়ের সমন্বয় রেখে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের নির্দেশ থাকলেও পালন করেননি সরাইল উপজেলার পরমানন্দপুরের ‘হাজী মুকসুদ আলী নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়’।
সরজমিনে সকাল ১০টা- দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেখা যায় স্কুলে ঝুলছে তালা। উড়ছে না জাতীয় পতাকাও। র্যালি নেই। নেই কোন আলোচনা সভার গন্ধও। কথা হয় ৮ নং ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. কাশেমের সাথে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আজকে এমন একটা দিনে এ বিদ্যালয়ে কোন কিছু নেই কেন আসলে বুঝতে পারছি না। প্রধান শিক্ষককেও তো দেখছি না। পরমানন্দপুর গ্রামের সন্তান সরাইল উপজেলা আ’লীগের আহবায়ক কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. উসমান জানায়, এই বিদ্যালয়ে আজ (১৫ আগষ্ট) জাতীয় শোক দিবসের কোন অনুষ্ঠান হয়নি।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে কারণ জিজ্ঞাসার পর তিনি বলেছেন, কর্তৃপক্ষের মেইল ডাউনলোড করতে পারিনি। তাই অনুষ্ঠান করিনি। দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের মুঠোফোনে (০১৭২৫-১৪৮০১৭) জানতে চাইলে তিনি বলেন, না অনুষ্ঠান করেছি। সকালেই করেছি। এখন নৌকায় আছি। ফেসবুকে ছবি দিয়েছি। আপনারা পাবেন। ২টা ৪৫ মিনিটে প্রধান শিক্ষক নিজেই আবার ফোন করে প্রতিবেদককে বলেন, আসলে সকালে অনুষ্ঠান করতে পারিনি। এখন শিক্ষার্থী ও লোকজনকে খবর দিয়েছি। তারা আসছে অনুষ্ঠান করব। সকালে এলাকার একটা জানাযা ছিল। অনুষ্ঠান না করেই কেন বললেন করেছি? এমন প্রশ্নের উত্তরে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যান প্রধান শিক্ষক। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সহিদ খালিদ জামিল খান বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে উপজেলার প্রত্যেকটি বিদ্যালয়কে পত্র দ্বারা জাতীয় শোক দিবসের সকল কর্মসূচি উপজেলার সাথে সময়ের সমন্বয় রেখে পালন করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। ওই বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠান না করার অভিযোগ কানে এসেছে। তদন্ত করে অবশ্যই ব্যবস্থা নিব।