আমাকে দলমত নির্বিশেষে সমর্থন দেন, তা হলে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী -এড. জিয়াউল হক মৃধা
মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল। আসন্ন জাতীয় সংসদ উপনির্বাচনে সাবেক জাতীয় পার্টি ( রওশন পন্থী) নেতা ও সাবেক দুইবারের সাংসদ এডঃ জিয়াউল হক মৃধা পরামর্শ সভা করেছেন।
মঙ্গলবার (১০অক্টোবর) বাদ আছর কালিকচ্ছ ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সরাইল আশুগঞ্জ উপজেলার জাতীয় পার্টির নেতা কর্মীদের আয়োজনে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রথমেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এড: জিয়াউল হক মৃধা। তিনি বলেন, উকিল আব্দুস সাত্তার ভূইয়ার মৃত্যুর পর অল্প সময়ের জন্য এই আসনে নির্বাচন। জাতীয় পার্টি’র মধ্যে একটা যুদ্ধ চলছে, আমরা যারা রওশন পন্থী তারাই এই যুদ্ধের ময়দানে অবস্থান করছি। জাতীয় পার্টি ‘র বিশাল একটা অংশ আমরা চেয়েছিলাম পল্লী বন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পরে ওনার স্ত্রী দলের চেয়ারম্যান হবেন। এইটাই হওয়ার কথা।
এখানে রাতের অন্ধকারে ডাকাতের মতো দলের নেতৃত্ব নিয়েছেন জিএম কাদের। এইটার প্রতিবাদ করতে গিয়েই আমি জিএম কাদের সাহেবের চক্ষুশূল হলাম। আমি রওশন পন্থী হওয়ায় একেবারে দল থেকেই বহিষ্কার। আমি আপনাদের পরামর্শ নিয়ে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে চাই। আপনারা যদি আমাকে দলমত নির্বিশেষে সমর্থন দেন তাইলে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী ইনশাআল্লাহ।
এসময় সরাইল উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও সাবেক সরাইল সদর ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলী নেওয়াজের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা জাতীয় পার্টি’র সদস্য সচিব এড: আব্দুল্লাহ আল হেলাল, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ফিরোজ খান। সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবদুল আজিজ, আশুগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মেরাজ শিকদার। সরাইল উপজেলা জাতীয় পার্টি সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজ মিয়া, কালিকচ্ছ ইউনিয়ন জাতীয় পার্টি সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মো: ছায়েদ হোসেন। কালিকচ্ছ ইউনিয়ন জাতীয় পার্টি সাধারণ সম্পাদক আবুল ফাতাহ মোহাম্মদ মাসুক। আশুগঞ্জ উপজেলা আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টি’র সভাপতি আলফাজ মিয়া। সরাইলের শাহবাজপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টি নেতা ও ইউপি সদস্য মোঃ ফরহাদ হোসেন। পাকশিমুল ইউনিয়ন জাতীয় পার্টি সভাপতি কামাল হোসেন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের স্বতন্ত্র সাংসদ উকিল আব্দুস সাত্তার ভূইয়া গত ৩০ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।
শূন্য আসনটিতে আগামী ৫ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১১ অক্টোবর, মনোনয়ন বাছাই ১২ অক্টোবর, প্রত্যাহার ১৯ অক্টোবর, প্রতীক বরাদ্দ ২০ অক্টোবর এবং ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৫ নভেম্বর।