সরাইলে লঞ্চ জেটি ও পন্টুল স্থাপন নিয়ে উত্তেজনা
সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের দুবাজাইল গ্রামে মেঘনা নদীতে লঞ্চ জেটি ও পন্টুল স্থাপনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে জানা যায়, প্রায় শত বছর ধরে উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের দুবাজাইল গ্রামের মেঘনা নদীর ওপর দিয়ে আশুগঞ্জ বন্দর ,ভৈরব বাজার, সিলেট, সুনামগঞ্চ, ছাতক, কমলাকান্দা, ইটনা, মিটামইন, আজমিরিগঞ্জ, দিরাই, নাসিরনগর, অষ্ট্রগ্রাম, বাজিতপুর, ভাগলপুর ও কুলিয়ারচরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের হাওর অঞ্চলের মানুষ সহজ উপায়ে ও কম খরচে নৌপথে মালামাল পরিবহন করে আসছে। নৌপথে পণ্য ও যাত্রী চলাচলের সময় দুবাজাইল একতা বাজার ঘাটে যাত্রা বিরতি করতো। বর্তমানে একতা বাজারে স্থানীয়দের উদ্যোগে বড় আকারের একটি ঘাট নির্মান করা হয়েছে।
গ্রামের একটি মহল পুরাতন ঘাটের তিন থেকে চারশত মিটার উত্তরে সমবায় বাজারে আরেকটি ঘাট নির্মান করেছে। তারা সেখানে নতুন করে লঞ্চ ঘাট করতে চায়। আগামী রোববার স্থানীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা নতুন ঘাটে জেটি ও পন্টুল স্থাপন কাজের উদ্ভোধন করার কথা রয়েছে। এ নিয়ে দুবাজাইল গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
দুবাজাইল গ্রামের ইউপি সদস্য মো.সিরাজ আলী ক্ষোভের সাথে বলেন আমাদের দাবি আগের স্থানেই জেটি ও পন্টুল স্থাপন করতে হবে। নতুন স্থানে জেটি ও পন্টুল স্থাপন করা যাবে না। যে কোনো মূল্যে তা প্রতিহত করা হবে।
সমবায় বাজারের পক্ষের সিরাজুল ইসলাম বলেন আমাদের এখানে জেটি ও পন্টুল স্থাপনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হযেছে। রোববার দিন যে কোনোভাবেই হোক তা উদ্ভোধন করা হবে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আলী আরশাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে।