Main Menu

সরাইলে আসামীদের সহায়তায় আসামী গ্রেপ্তারের পর সংঘর্ষ বাড়িঘর ভাংচুর:: আহত-১৫

+100%-

মোহামদ মাসুদ, সরাইল::সরাইলে পুলিশ ইরা মিয়া (৪৫) ও ফরিদ মিয়া (৮২) হত্যা মামলার ফেরারী আসামীদের সহায়তায় আরেকটি হত্যা মামলার আসামী ফজর আলীকে (৫৫) গ্রেপ্তারের পর দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। ভাংচুর করা হয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বাড়িঘর। স্থানীয় লোকজনের হস্তক্ষেপে এক ঘন্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে শাহজাদাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় লোকজন জানায়, গতকাল বাদ ফজর বৃদ্ধ ফরিদ মিয়ার (৮২) রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামীদের গ্রেপ্তার করতে ওই গ্রামে যায় উপ-পরিদর্শক আবদুল আলীম। এ সময় পুলিশকে প্রকাশ্যে দিবালোকে সহায়তা করে একই ঘটনায় দায়ের করা আরেকটি হত্যা মামলার অভিযুক্ত আসামী মফিল মেম্বার, কফিল মিয়া সহ সকল আসামী। এ ছাড়া ২০১২ সালের ১৫ জুলাই ইরা মিয়া (৪৫) হত্যা মামলার ফেরারী আসামী মিরাজ মিয়ার পুত্র ছায়েদ মিয়া (৩৮) ফসলি মাঠ থেকে ফজর আলীকে ধরে এনে পুলিশের হাতে দেয়। ফেরারী ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত ওই আসামীদের পুলিশ গ্রেপ্তার করেনি। ফজর আলীকে নিয়ে গ্রাম থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে মফিল মেম্বারের লোকজন ফজর আলী, আজহার ও কাউছারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। সকাল ৭টায় বেঁধে যায় সংঘর্ষ। চকবাজারে উভয় গোত্রের লোকজন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এক ঘন্টা চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ। ৮টার পর গ্রামবাসী এগিয়ে এসে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। ততক্ষণে উভয় পক্ষের নারী পুরুষ সহ ১৫ জন আহত হয়েছে। প্রসঙ্গত: বৃদ্ধ ফরিদ মিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় দীন ইসলাম বাদী হয়ে একটি ও নাছির মিয়া বাদী হয়ে আরেকটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। আদালত দুটি মামলা একত্রে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশকে।






Shares