সরাইলে ৮২ বছরের বৃদ্ধার রহস্যজনক মৃত্যু
সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ফরিদ মিয়া প্রকাশ ফিরোজ নামের ৮২ বছর বয়সের এক বৃদ্ধার রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গত সোমবার রাতে উপজেলার শাহজাদাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। বৃদ্ধার পরিবারের সদস্যদের দাবী প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে হত্যা করেছে। আর প্রতিপক্ষের লোকজন বলছে তাদেরকে ফাঁসানোর উদ্যেশ্যে নিজেরাই বৃদ্ধাকে হত্যা করে নাটক সাজিয়েছে। পুলিশ ওই বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করেছে। নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউপি সদস্য মফিল মিয়া খাদেম (৪৭) ও ফজর আলীর (৫০) লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
গত সোমবার রাতে মফিলের ভাতিজা সাইদ মিয়ার (৪০) সাথে ফজর আলীর ভাতিজা কাউছারের বাক-বিতন্ডা হয়। কিছুক্ষণ পর কাউছার কিছু লোক নিয়ে মফিলের ভাই কফিলের বাড়ির দিকে হামলা চালায়। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় বৃদ্ধা ফরিদ মিয়া। লোকজন দৌড়ে গিয়ে কফিলের ঘরের পাশে ফরিদ মিয়ার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে। বৃদ্ধার বুকের নিচে একটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অপরদিকে কাউছার জানায়, সে ওই রাতে গরু খোঁজার জন্য কফিলের বাড়ির দিকে গিয়েছিল। তখন সাইদ সহ কয়েকজনে মিলে তাকে আটক করে মারধর শুরু করে। পরে সুযাগ বুঝে পুকুরে লাফিয়ে পড়ে কোন রকমে জীবন রক্ষা করে বাড়িতে চলে আসে। অনেকক্ষণ পর কফিলের বাড়িতে লোকজনের শোরগুল শুনা যায়। একটু পরেই তারা প্রচার করে ফরিদকে হত্যা করা হয়েছে। আমাদেরকে ফাঁসানোর উদ্যেশ্যে তারা পূর্বপরিকল্পিত ভাবে নিজেরাই ওই বৃদ্ধাকে খুন করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক গ্রামবাসী বলেন, জায়গা পুকুর আধিপত্য সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উভয় গোষ্ঠীর মধ্যে দাঙ্গা হাঙ্গামা মামলা মোকদ্দমা দীর্ঘদিনের। হত্যা কান্ডের পেছনে বড় ধরনের রহস্য রয়েছে। প্রকৃত পক্ষে ওই রাতে গ্রামে সংঘর্ষের কোন ঘটনা ঘটেনি। এ ছাড়া গ্রামে ফরিদ মিয়ার কোন শত্রু নাই। আর ফরিদ মিয়ার বাড়ি থেকে কফিলের বাড়ি আধা কিলোমিটার দূরে। পুলিশি তদন্তে সঠিক রহস্য বেড়িয়ে আসবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।