সরাইলের ষাটবাড়িয়ায় খুনের পর লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার
সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃ সরাইলের ষাটবাড়িয়া গ্রামে সংঘর্ষে জাকির খুনের পর অশান্ত হয়ে পড়ে গ্রামটি। গত ১৫ দিন ধরে দিনে রাতে চলছে ভাংচুর ও লুটপাট। প্রতিপক্ষ হরিপুর হলেও ষাটবাড়িয়া গ্রামের একটি গোত্রের লোকজনই এ তান্ডব চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ ভক্তিভোগীদের। গত ৪ মে মানবজমিন পত্রিকায় ‘ষাটবাড়িয়ায় আতঙ্ক’ শিরোনামে একটি সরেজমিন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই গ্রামের উপর নজরধারী বেড়ে যায় পুলিশের। ৫ মে আলেকজান বেগম বাদী হয়ে ৭২ জনের বিরুদ্ধে অগ্নিসংযোগ ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগে মামলা করেন। পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, হত্যা মামলার আসামীরা গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়। সুযোগে ষাটবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্ধা আসামীদের প্রতিপক্ষের কিছু লোক ভাংচুর ও লুটপাটের তান্ডব চালায়। মামলার পর থেকে পুলিশ লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে আসছে। গত বুধবার রাতে লুটপাট মামলার বেশ কয়েকজন আসামীর বাড়ি ও বাড়ির আশপাশে পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশ কয়েকটি ক্লাক্সিবল গেইট, বিপুল পরিমান ষ্টীলের জানাল, চৌকাঠ সহ কত গুলো দরজা, শতাধিক মন ধান ও অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত মালামাল পরমানন্দপুর গ্রামের জালাল মিয়া ও আইয়ুব খানের জিম্মায় রাখা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ মসিউর রহমান লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধারের কথা স্বীকার করে বলেন, লুটপাটের পর আসামীদের বাড়িতেই মাল গুলো রেখেছিল।