Main Menu

জমি নিয়ে বিরোধ ::সরাইলে ভ্যান চালক ও মেথরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা

+100%-

সরাইল  প্রতিনিধিঃ::সরাইলের গুনারা গ্রাম। ফসলি জমি ঘেষে ছোট একটি দু’চালা টিনের ঘর। চারিদেকে খোলা। মা বোন খালাম্মা সহ পরিবারের ৮-৯ জন সদস্য নিয়ে গিজাগিজি করে বসবাস করছে আহাম্মদ আলীরা। পরিবারের মহিলারা ভিক্ষা করে আর পুরুষরা রিকশা ভ্যান চালিয়ে ও মেথরের কাজ করে অতি কষ্টে দু’মুঠো ভাতের ব্যবস্থা করে। পড়নে তাদের ছিড়া ফাড়া কাপড়। আবার অনেকেই খালি গা। চোখে মুখে তাদের অভাব কষ্ট ও বিষাদের চাপ। তারপর মোহাম্মদ আলী সহ তারা তিন ভাই এখন চাঁদাবাজি মামলার আসামী। উপজেলার গুনারা ও বিশুতারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এটি দরিদ্র লোকদের পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার একটি কৌশল বলে দাবী করেছেন একাধিক সর্দার। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। সরজমিনে গেলে এলাকাবাসী জানায়, কালিকচ্ছ ইউনিয়নের বিশুতারা গ্রামের আবুল কালাম গুনারা গ্রামে জায়গা ক্রয় করেছেন। কাগজ পত্রে সমস্যা রয়েছে। কালাম দাবী করছেন প্রতিবেশী মোহাম্মদ আলী আহাম্মদ আলী গংরা তার জায়গা দখল করে রেখেছেন। অপরদিকে আহাম্মদ আলীরা বলছেন পৈত্রিক সম্পত্তিতে তারা বাড়ি করে বসবাস করছেন। এ বিষয়ে একাধিক সালিস বৈঠক করেও কোন নিস্পত্তি হয়নি। কোন পক্ষই আদালতে মামলাও করেননি। সম্প্রতি আবুল কালাম বাদী হয়ে মৃত মারাজ মিয়ার পুত্র মেথর ও ডে লেবার মোহাম্মদ আলী (৪০), ভ্যান চালক আহাম্মদ আলী(৩৫) ও মাটি কাটার শ্রমিক রিকশা চালক এনাব আলীর (৩২) বিরুদ্ধে সরাইল থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। আহাম্মদ আলীর মা হোসেন বানু (৬০), খালাম্মা জানু বেগম (৩৭) ভিক্ষা করে জীবন যাপন করছে। ওই পরিবারের লোকজন এখন চাঁদাবাজির মামলা মাথায় নিয়ে ঘুরছেন। মামলার বিবরনে জানা যায়, আবুল কালাম বিশুতারা গ্রাম থেকে এসে গুনারা গ্রামে বাড়ি নির্মানের কাজ শুরু করলে আহাম্মদ আলীরা তার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদা না দেয়ায় আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়। গত ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় আসামীরা নির্মানাধীন বসত বাড়িতে প্রবেশ করে আবুল কালামকে মারধর করে ৩৬ হাজার টাকার মালামাল ছিনিয়ে নেয়। গুনারা গ্রামের সর্দার মোঃ সাইদ মিয়া (৫০), মোঃ মন্টু মিয়া (৪৮), তারা মিয়া (৪৫) ও মোঃ শওকত আলী (৫০) বলেন, চাঁদাবাজির অভিযোগ সাজানো। এটা দূর্বলের উপর প্রভাশালীর অত্যাচার। পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্য জায়গা থেকে গরীব লোকদের বঞ্চিত করার অপকৌশল। তাদের ভিতরে ভীতি সৃষ্টি করার জন্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা করেছে। সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য মোঃ শাহ আলম মিয়া ও চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার জানান, ঘটনা জায়গার। মামলা করেছে চাঁদা দাবীর। এটা সাজানো নাটক। মামলার বাদী আবুল কালামের মুঠোফোনে (০১৭৪৩-৫৮৮২৮৬) একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মোঃ আবদুল হক বলেন, চাঁদা দাবীর অভিযোগ মোটেও সঠিক নয়।






Shares