Main Menu

সরাইলে মাদ্রাসা ছাত্র অপহরণ মামলার বাদী ও স্বজনদের হয়রানির অভিযোগ

+100%-

মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল প্রতিনিধি :: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে বায়েজিদ মোস্তাকিম (১৩) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্র অপহরণ মামলার বাদী ও স্বজনদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার বিকালে স্থানীয় প্রেস ক্লাবে অপহৃত ছাত্রের মা রুজিনা বেগম এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তুলেন। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ২৬ জানুয়ারি বিকেলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সৈয়দটুলা গ্রামের মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী রাকিব মিয়ার ছেলে বায়েজিদকে একটি চক্র অপহরণ করে। ওই দিন রাত নয়টার দিকে অপরণকারাীরা মুঠোফোনে বিষয়টি তার পরিবারকে অবহিত করে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরদিন রাতে বায়েজিদের মা রোজিয়া বেগম বাদি হয়ে সরাইল থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এর পর অপহরণকারীদেরকে বিকাশের মাধ্যমে ৪৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। ৩১ জানুয়ারি রাতে পুলিশ ফাঁদ পেতে সৈদয়টুলা গ্রামের আবদুল হোসেন ওরফে হৃদয় (২০) সদর উপজেলার সুহিলপুর গ্রামের পলক মিয়া ওরফে বাবু (২০) একই গ্রামের মশিউর রহমান ওরফে শুভকে (২০) ব্রা‏হ্মণবাড়িয়া শহর ও আখাউড়া পৌর শহর থেতে গ্রেপ্তার করে বায়েজিদকে উদ্ধার করে। তখন থানা হাজতে আটক তিনজনই অপহরণের সাথে জড়িত থাকার কথা সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করেছিল।  উদ্ধার ঘটনার ১৯ দিন পর হৃদয়ের নানা সৈয়দটুলা গ্রামের আজিজুর রহমান বাদী হয়ে ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতে অপহৃত বায়েজিদের মা-বাবা-দাদাসহ নয় জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বায়েজিদের বাবা রাকিব মিয়া কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন আমার ছেলে অপহরণের মাত্র ২৫ দিন আগে আমি বিদেশে (সৌদি আরব)গেছি। ছেলে অপহরণ হইছে শুইন্না ছুইটা আছি। অহন আমি নিরাপত্তাহিনতায় আছি। বিদেশে আমার চকরি আছে কিনা জানি না। রুজিনা বেগম বলেন আসামি পক্ষের লোকজন মামলা তুলে নিতে হুমকি দিতেছে। মামলা না তুললে আমাদেরকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আমারা অসহায় নিরিহ মানুষ। অপহরণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এস আই) আবদুল আলীম বলেন বাদী ও তাঁর স্বজনদের নানাভাবে হুমকি দেওয়ার সত্যতা রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আলী আরশাদ বলেন,অপহরণ মামলার বাদী ও স্বজনদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে।   



-সঞ্জয়






Shares