“মানুষ পুড়িয়ে মেরে ক্ষমতায় যাওয়া যাবে না, নির্বাচন ২০১৯ সালেই হবে”- – মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃ মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এডভোকেট সায়েদুল হক এম পি বলেছেন, বোমা ফাঁটিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করে ক্ষমতায় যাওয়া যাবে না। আগামী সংসদ নির্বাচন ২০১৯ সালেই হবে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। শিক্ষা খাতে অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি করেছে। চিকিৎসা সেবাকে মানুষের দৌড়গোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে। এসব দেখে পাকিস্তানের এজেন্ড খালেদা জিয়ার গাত্রদাহ হচ্ছে। তিনি হরতাল ও অবরোধের নামে পেট্রল বোমা ফুটিয়ে এ দেশের নিরীহ সাধারন মানুষদের হত্যা করছেন। উনাকে যখন বারবার নির্বাচনে অংশ গ্রহন ও সংলাপের কথা বলা হয়েছিল। তখন তিনি কি ভেবে যেন বেঁকে বসেছিলেন। এখন তিনি নির্বাচনের জন্য মানুষ মারছেন। বঙ্গবন্ধু দেশটাকে স্বাধীন করেছিলেন রাজাকারদের দিয়ে বোমা ফাটানোর জন্য? এ গুলো কার জন্য, কি উদ্যেশ্যে করছেন বেগম জিয়া? আপনার কি লজ্জা করে না! জনগন আপনার সাথে নেই। সহিংসতার পথ পরিহার করুন। গতকাল শনিবার বিকেলে সরাইল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের উদ্যোগে আয়োজিত অধ্যক্ষ শেখ মোহাম্মদ আবু হামেদ স্মরণে নাগরিক শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। তিনি শিক্ষা ক্ষেত্রে হামেদ স্যারের অসামান্য অবদানের কথা ব্যাখ্যা করে তার বিদেহি আত্মার মাফিরাত কামনায় মোনাজাত করেন। কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইসমত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শোক সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা বলেন, দেশের বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে আবু হামেদের অবদান গৌরবোজ্জল ও চিরভাস্বর। সরাইল কলেজেরে প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ, ভাষা সৈনিক ও সরাইলে আ’লীগের প্রথম সভাপতি শেখ আবু হামেদ ছিলেন সরাইলে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিতদের অন্যতম। তিনি ২০ দলের উদ্যেশ্যে বলেন, বোমা মেরে মানুষ মারা ইসলামের দৃষ্টিতে নাযায়েজ কাজ। বিএনপি জামায়াতকে এ ধ্বংস লীলার দায় দায়িত্ব নিতে হবে। আজ পর্যন্ত কি আপনাদের দলের কোন নেতার ছেলে মেয়ে মারা গেছে? যায়নি। তাহলে আপনারা সাধারন মানুষের দুঃখ বুঝবেন কিভাবে। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার মোঃ আনোয়ার হোসেন ও জাসদ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি হোসাইন আহমেদ তফছিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিম, ভৈরব পৌর সভার সাবেক মেয়র ও আ’লীগ নেতা ফখরুল আলম আক্কাস, সরাইল আ’লীগের সাবেক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, সাবেক অতিরিক্ত সচিব ফরহাদ রহমান মাক্কী, অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল, মুক্তিযোদ্ধা এ আই মনোয়ার উদ্দিন মদন, আ’লীগের যুগ্ম আহবায়ক এডভোকেট আবদুর রাশেদ, প্রয়াত আবু হামেদের ছেলে প্রকৌশলী শেখ মোবাররম আহসান, মোঃ ছাদেক মিয়া, মোঃ আরব আলী ও মোঃ শফিকুর রহমান প্রমূখ। বক্তারা আবু হামেদকে সুস্থ্য চিন্তা প্রগতিশীল ও ধর্মপ্রাণ এ মানুষটিকে গোলাপ ফুল বলে সম্ভোধন করেন।