সরাইলে সন্ত্রাসী হামলা: ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে মা ও শিশু সন্তানসহ এক পরিবারের ৪ জন আহত



মোহাম্মদ মাসুদ সরাইল থেকেঃব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে সন্ত্রাসীদের হামলার কবল থেকে ছেলেকে রক্ষা করতে গিয়ে মা স্ত্রী ও শিশু সন্তানসহ এক পরিবারের চার জন গুরুতর আহত হয়েছে। উপজেলার দেওড়া গ্রামে গত শুক্রবার বিকালে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সরাইল থানায় ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় লোকজন ও মামলা সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্র“তার জের ধরে বাটবাড়িয়ার বাসিন্ধা সোহেলের (৩৫) নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী উত্তর পাড়ার সিএনজি অটোরিকশা চালক মিজানের (৩২) বাড়িতে প্রবেশ করে তার উপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা মিজানকে রামদা চাপাতি ও বল্লম দিয়ে উপ র্যোপুরি আঘাত করতে থাকে। মিজানের আর্তচিৎকারে বৃদ্ধ মাতা হুসনারা বেগম (৬০), স্ত্রী আরফুজা বেগম (২৮) ও প্রথম শ্রেণীর ছাত্র শিশু সন্তান রাব্বি (০৭) দৌড়ে এসে তাকে রক্ষার চেষ্টা করে। এতে সন্ত্রাসীদের দায়ের কূপে ওই পরিবারের চারজনই গুরুতর আহত হয়। মিজানের বাম পায়ের একাধিক রগ কেটে ফেলে সন্ত্রাসীরা। তাদের তান্ডবে আশপাশের লোকজন ভীত সন্ত্রস্থ হয়ে পড়ে। পরে স্বজনরা তাদেরকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। মিজানের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। বর্তমানে মিজান সেখানে মৃর্ত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছে। বাকি তিন জন জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এ ঘটনার রাতেই মিজানের বড় ভাই জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে সোহেলসহ ১৮ জনকে আসামী করে সরাইল থানায় একটি মামলা করেছেন। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আলী আরশাদ বলেন, আশঙ্কাজনক অবস্থায় মিজান ঢাকায় চিকিৎসাধীন থাকার কথা শুনেছি। আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।