সরাইলে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও ভোল্টেজ সমস্যায় বিপাকে ১৬হাজার গ্রাহক



ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে বিদ্যুতের লো ভোল্টেজ ও লোডশেডিংয়ের নামে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে কোরবানির মাংস নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন এলাকার লোকজন। আশি ভাগ গ্রাহকের ফ্রিজের মাংসে পচন ধরেছে। দিশাহারা হয়ে গ্রাহকরা ছুটছে ফ্রিজ বিক্রেতা ও মেরামতকারীদের কাছে। সরাইলে বিদ্যুতের লো ভোল্টেজের কথা স্বীকার করেছেন খোদ নির্বাহী প্রকৌশলী।
সরজমিন জানা যায়, উপজেলার ১৬ হাজার গ্রাহকের সকলেই পুরাতন ও নতুন ফ্রিজ ক্রয় করে কোরবানির মাংস রাখার জন্য ছিলেন পুরোপুরি প্রস্তুত। কিন্তু গত এক বছর ধরে সরাইলের সর্বত্রই বিদ্যুতের ভোল্টেজ একেবারেই কম। ভোল্টেজ সমস্যার কারণে শতাধিক টিভি ও ফ্রিজ নষ্ট হয়েছে ইতিমধ্যে। তারপর রয়েছে হিসাব ছাড়া ঘনঘন লোডশেডিং। ঘণ্টায় ২৫-৩০ বার বিদ্যুতের যাওয়া আসা তো এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। ঈদের আনন্দে বিদ্যুতের নানান সমস্যার কথা বেমালুম ভুলেই গিয়েছিল গ্রাহকরা। ঈদের দিন ফ্রিজে মাংস রাখার পর যখন ফ্রিজ লোড নেয় না তখন ঘুম ভাঙে গ্রাহকদের। দু’দিন অপেক্ষার পরও মাংসে আইস বাঁধে না। ফ্রিজ থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকে। দিশাহারা হয়ে লোকজন ছুটতে থাকে ফ্রিজ বিক্রেতা ও মেরামতকারীদের কাছে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের সৈয়দটুলা গ্রামের বাচ্ছু মিয়াসহ বিদ্যুতের একাধিক গ্রাহক জানান লো-ভোল্টেজ ও ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারনে তাদের ফ্রিজ লোড নিতে না পেরে কোরবানির মাংসে পচন ধরেছে। এছাড়া প্রচন্ড গরমে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে এলাকার সেচ কাজে অসুবিধাসহ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পড়া লেখায় বিঘœ ঘটছে। এলাকার জনগণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সরাইল উপজেলা পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ) সুব্রত রায় লো ভোল্টেজের কথা স্বীকার করে বলেন, এটা আমাদের সিস্টেমের সমস্যা। তারপরও আশুগঞ্জে কথা বলে দেখি কিছু করা যায় কিনা।