স্কুল খোলা, শিক্ষার্থীরা খেলছে: নেই পাঠদান -হতাশ হলেন ইউএনও
প্রতিনিধিঃ স্কুল খোলা। খোলা রয়েছে দরজা জানালা। শিক্ষার্থীরা লাফাচ্ছে খেলছে। পাঠদান নেই। খাঁ খাঁ করছে চেয়ার টেবিল। নেই কোন শিক্ষক। বেলা সাড়ে এগারটা। অফিসে বসে চারজন শিক্ষক খাতা দেখছেন। শ্রেণী কক্ষে ময়লার স্তুপ। ল্যাট্রিন গুলো ব্যবহার অনুপযোগী। কোথাও খুঁজে পেলাম না প্রধান শিক্ষককে। বিদ্যালয়ের চিত্র দেখেই মনে হচ্ছে এখানে পাঠদান হয়নি অনেক দিন। বেতন ও উপবৃত্তির টাকা উঠছে নিয়মিত। এ কেমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ! হতাশ হলাম। গতকাল সকালে উপজেলার টিঘর রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে উপরোল্লেখিত কথা গুলো বলছিলেন সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরান হোসেন। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে শিক্ষক কর্তৃক এভাবে বিদ্যালয় ফাঁকির বিষয়টি আমি কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছি না। পরে শিক্ষকদের হাজিরা খাতা চিজ করে নিয়ে এসেছি। এলাকাবাসী জানায়, এ বিদ্যালয়ে অনিয়ম নতুন কিছু নয়। প্রধান শিক্ষক থাকেন সরাইল সদরে সরকারি কোয়াটারে। মন চাইলে আসেন। স্বাক্ষর করে আবার দ্রুত চলে যান। তিনি বিভিন্ন কাজ নিয়ে সারাদিন উপজেলা চত্বরেই ব্যস্ত থাকেন। অনেক শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষক কে ? তা জানে না। ছিক্স পাস এক মেয়েকে দিয়ে অনেক দিন বদলি শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করিয়েছেন তিনি। স্কুলে উড়েনি জাতীয় পতাকা। এসব বিষয়ে একাধিক জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। প্রধান শিক্ষক একটি বিশেষ সাইন বোর্ড ব্যবহার করছেন দীর্ঘদিন যাবত। এ জন্য শত অনিয়ম ধরা পড়ার পরও নিরব রয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এক যুগের ও অধিক সময় ধরে ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভাপতিত্ব করছেন একই ব্যক্তি। তাও আবার প্রধান শিক্ষকের পছন্দে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ তৌফিকুল ইসলাম বলেন, ইউএনও স্যারের কাছ থেকে টিঘর স্কুলের অনিয়মের কথা শুনেছি। স্যারের প্রতিবেদন পাওয়ার পর ব্যাবস্থা নিব। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরান হোসেন বলেন, শ্রেণী কক্ষে একজন শিক্ষকও নেই। সকল কক্ষেই ময়লার স্তুপ। প্রধান শিক্ষক যান না দীর্ঘদিন যাবত। গুরুত্ব সহকারে এ অনিয়মের ব্যবস্থা নিব। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ এমদাদুল হক বলেন, বাসায় বসে উপবৃত্তির কার্ড লিখছিলাম। তাই একটু বিলম্ব হয়ে গেছে। |
« কে এই সিরু মিয়া? (পূর্বের সংবাদ)
(পরের সংবাদ) সরাইলে এক প্রবাসী খুন : পাল্টা প্লাটা : বাদী হলেন আসামি »