Main Menu

দলীয় কোন্দলে সরাইল ছাত্রদলের নবীনবরন বাতিল

+100%-


সরাইল প্রতিনিধিঃ দলীয় কোন্দলের কারনে সরাইল কলেজে উপজেলা ছাত্রদলের নবীনবরন অনুষ্ঠান বাতিল হয়ে গেছে। পূর্ব নির্ধারিত গতকালের এ অনুষ্ঠানের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করার পর  প্রশাসন ও কলেজ কর্তৃপক্ষ আইন শৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কায় বন্ধ করে দিয়েছেন। এ সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে উপজেলা ছাত্রদল। তবে কলেজে পুলিশ মোতায়েন ছিল। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরাজ করছিল অজানা আতঙ্ক। কলেজ সূত্র জানায়, রাজনৈতিক সংঘঠন গুলোর সাথে সভা করে নবীনবরন পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রথমে নবাগত শিক্ষার্থীদের সাথে কলেজের প্রভাষকদের পরিচিতি অনুষ্ঠান হবে। ২ জুলাই ছাত্রলীগ, ৩ জুলাই ছাত্র সমাজ ও ৪ জুলাই ছাত্রদল নবীনবরন অনুষ্ঠান করবে। ছাত্রলীগ শান্তিপূর্ন ভাবে অনুষ্ঠান করেছে। ছাত্র সমাজ তারিখ পরিবর্তন করেছে। ছাত্রদলের ক্ষেত্রে বাঁধ সেজেছে দলীয় কোন্দল। এডভোকেট আবদুর রহমান পন্থী ছাত্রদল ও যুবদল নেতারা ৩ জুলাই বুধবার দুপুরে ওই অনুষ্ঠান প্রতিহত করার কথা অধ্যক্ষকে জানায়। এডভোকেট আবদুস সাত্তার পন্থী ছাত্রদল যুবদল সহ সকলেই অনুষ্ঠান করার বিষয়ে বদ্ধ পরিকর। উভয় শিবিরে চলে প্রস্ততি। সম্ভাব্য সংঘাত সংঘর্ষের বিষয়টি চাউর হতে থাকে সর্বত্র। এগিয়ে আসে পুলিশ প্রশাসন। বুধবারেই অধ্যক্ষকে অনুষ্ঠান বন্ধ করার আহবান জানান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। শান্তিপূর্ন পক্রিয়ায় ছাত্রদলের সাথে কথা বলে আপাতত অনুষ্ঠান বাতিল করেছেন অধ্যক্ষ। গতকাল সকাল থেকেই কলেজে চলে উভয় গ্রুপের মহড়া। ক্যাম্পাসের ভিতরে সন্দেহ জনক ভাবে ঘুরতে দেখা যায় বহিরাগতদের। সকাল থেকেই মোতায়েন ছিল পুলিশ। সরাইল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র শাহরিয়ার মৃধা ও ইজাজুল ইসলাম জানায়, ছাত্রদলের দুই গ্রুপের উত্তেজনার কারনে আজকের নবীনবরন বাতিল হয়েছে। অনেকে ভয়ে কলেজেও আসেনি। সরাইল কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রদর্শক মোঃ অহিদ মিয়া বলেন, সাত্তার আর রহমান গ্রুপের কোন্দলের কারনে সুন্দর একটি অনুষ্ঠান বাতিল হয়ে গেল। সরাইল কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল বলেন, শৃঙ্খলা বজায় রেখে রাজনীতি বা কোন অনুষ্ঠান করতে কোন আপত্তি নেই। সকলের মতামতের ভিত্তিতে নবীনবরন অনুষ্ঠানের দিনক্ষণ ঠিক করেছিলাম। ছাত্রদলের একাংশের নেতারা অনুষ্ঠান প্রতিহত করার ঘোষনা দেয়। পুলিশ ও বিষয়টি আমাকে অবহিত করে। কলেজের স্বার্থে আমি প্রোগ্রাম বাতিল করেছি। পরবর্তীতে অনুষ্ঠান করতে কোন আপত্তি নেই। ছাত্র দলের সাবেক সম্পাদক রহমান গ্রুপের মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান ছাত্রদলের কমিটি অবৈধ। এ কমিটির মাধ্যমে কোন অনুষ্ঠান বা কার্যক্রম সরাইল ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা মেনে নিবে না। তাই আমরা প্রতিহত করার ঘোষনা দিয়েছি। অনুষ্ঠান বাতিল হয়েছে। ওদিকে বর্তমান ছাত্রদল সভাপতি সাত্তার পন্থী সৈয়দ ইসমাঈল হোসেন উজ্জল বলেন, কোন্দল বা উত্তেজনার কোন বিষয় আমার জানা নেই। আরো সুন্দর ও বড় পরিসরে অনুষ্ঠান করার লক্ষ্যে তারিখ পরিবর্তন করেছি। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উত্তম কুমার চক্রবর্তী বলেন, উভয় গ্রুপের উত্তেজনার বিষয়টি আচ করতে পেরে দলীয় নেতাদের সাথে আলোচনা করে আপাতত অনুষ্ঠান বন্ধ করেছি।






Shares