মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল থেকে ; সরাইলে সীমাহীন লোডশেডিং এর কারনে দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। দিনের বেলায় যেমনি লোডশেডিং চলছে সাথে শুরু হয়েছে মধ্যরাতের লোডশেডিং। প্রতিদিন কমপক্ষে বিদ্যুৎ থাকে না ৫ থেকে ৬ ঘন্টারও বেশী সময়। গরম যেমনি বেড়েছে তার সাথে তাল মিলিয়ে বেড়েছে লোডশেডিং এর প্রকোপ। দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী এলাকার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ অন্যতম। তারপরও কেন এই লোডশেডিং ? সরাইল বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ বলছে ওভারলোডের কারনে পাওয়ার ট্রান্সফরমার লোড নিতে না পারায় বার বার ড্রপ হচ্ছে তাই অনাকাঙ্খিতভাবে এই লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। ভূক্তভোগীরা জানান, প্রতিদিন গড়ে পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা সময় বিদ্যুৎ বন্ধ থাকে। কোন কাজ করতে গেলে দেখা যায় কিছুক্ষন পর পর বিদ্যুৎ যাচ্ছে, এতে করে অনেক সময় অপচয় হচ্ছে। অন্যদিকে প্রচন্ড গরম হওয়ায় এবং বার বার বিদ্যুৎ যাওয়া-আসায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারন মানুষ। স্বাভাবিক কাজকর্মে নেমে এসেছে স্থবিরতা। বিদ্যুৎ না থাকায় মানুষ অফিস-আদালত, বাসা বাড়ি ও ব্যাবসা প্রতিষ্টানে কাজকর্ম করতে পারছেনা। তারা আরো জানান, বার বার বিদ্যুৎ যাওয়া-আসার কারণে ইলেক্ট্রনিক্স মালামালের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তার পার আবার ল’ভলটজি । আগে দিনে এবং সন্ধ্যায় লোডশেডিং হলেও মধ্যরাতে লোডশেডিং শুরু হয়েছে কয়েকদিন যাবত। সারাদিন খাটুনির পর রাতেও লোডশেডিং এর কারনে ঘুমাতে পারছেনা সাধারণ মানুষ। সরাইল থানা ও উপজেলায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানেও বিদ্যুৎ নেই। কম্পিউটারে দাপ্তরিক কোন কাজ করতে পারছেনা অপারেটর । তারপরও থেমে নেই কেউ। বিদ্যুতের দিকে না তাকিয়ে ঢিলেঢালা ভাবে চলছে তাদের কাজকর্ম। সরাইল বাজারের ব্যবসায়ী মোঃ হাজী ইকবাল হুসনে জানান, যে পরিমান গরম পড়েছে তাতে করে টিকে থাকা অসম্ভব তার সাথে আবার যোগ হয়েছে লোডশেডিং। আর সহ্য করার মত নয় বুঝতে পারছি না কি করব। ব্যবসা প্রতিষ্টানে বসে থাকার কোন উপায় নেই কালীকচ্ছ গ্রামের মো আলী মিয়া জানান, যেভাবে দিনে ১০/১২ বার বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করছে তাতে করে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। রাতে কিছুক্ষন পর পর বিদ্যুৎ চলে যায় মধ্য রাতেও বিদ্যুৎ না থাকার কারনে রাতে ঘুমাতে পারি না। দিনে লোডশেডিং থাকলেও গভীর রাতে বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না এটা কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া দরকার। সরাইল বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, অতিরিক্ত গরমের কারনে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ওভারলোড হচ্ছে। এরই কারনে বার বার পাওয়ার ট্রান্সফরমার ড্রপ করছে। তাই বিদ্যুতের স্বভাবিক সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাঁরা আরো জানান, পাওয়ার ট্রান্সফরমার যদি কোন কারনে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলেতা ঠিক করতে দীর্ঘ সময় লাগে তা ঠিক করতে। তাই আমরা মানুষের কথা মাথায় রেখে কোন ঝুকি নিতে পারছি না। এ ব্যাপারে সরাইল বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (অতরিক্তি)এ.জেড.এম আনোয়ারুজ্জামান জানান, লোডশেডিং নয় বরং ওভারলোডের কারনে ট্রান্সফরমারের ট্রিপ পরে যাচ্ছে তাই এমন হচ্ছে। আশা করি দু’এক সপ্তাহের মধ্যে লোডশেডিং অনেকটা কমে যাবে। |