সরাইল জনতা ব্যাংকের কান্ড! জিডির চেকে লেনদেন



মোহাম্মদ মাসুদ :: সরাইল জনতা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তুঘলকি কান্ড ঘটিয়েছে। রহিছ নামের এক গ্রাহকের হারিয়ে যাওয়া চেক নিরবে বাহকের মাধ্যমে গ্রহন করে সমালোচনার মুখে পড়েছে। থানায় জিডি করার পরও চেকের বাহককে কেন আটক করা হল না? এ প্রশ্ন এখন সবার মুখে মুখে। ব্যাংকের এক কর্মকর্তার যোগসাজশেই এমনটি হয়েছে বলে গ্রাহকের অভিযোগ। খোদ ব্যবস্থাপক নিজেও বলছেন কাজটি সঠিক হয়নি।
থানার জিডি ও গ্রাহক সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী রহিছ। জনতা ব্যাংক সরাইল শাখায় তার হিসাব নং-টি- ৩৮৭। সে দীর্ঘদিন ধরে তার হিসাবে লেনদেন করে আসছে। গত ১৮ মার্চ তার চেক বইটি হারিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুজি করে কোথাও পাওয়া যায়নি। অবশেষে সে ৬ এপ্রিল সরাইল থানায় এ বিষয়ে একটি জিডি করে। জিডি নং- ২৬০। তার হিসাবে গচ্ছিত টাকার নিরাপত্তার জন্য ১২ এপ্রিল জিডির একটি অনুলিপি ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেয়। ব্যাংক জিডির কপিটি গ্রহন করে। জিডি গ্রহন করার পরও ব্যাংক হারিয়ে যাওয়া চেকের মাধ্যমে জনৈক বাহককে টাকা প্রদান করে। বিষয়টি জেনে রহিছ তার প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মকর্তাকে নিয়ে ব্যাংকে স্বশরীরে হাজির হয়ে কফিয়ত চান। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ভুল স্বীকার করে পরবর্তীতে আর এমনটি হবে না বলে নিশ্চয়তা দেয়। কিন্তু হারিয়ে যাওয়া ১টি চেক (নং-১৫১১৩৪৫) অন্য আরেকটি ব্যাংকের মাধ্যমে জনৈক ব্যক্তি নগদায়নের জন্য ১৬ ও ২২ এপ্রিল জনতা ব্যাংকে প্রেরন করে। ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ কর্মকর্তা বিমল কুমার চন্দ্র চেকের বাহকের কাছে ওই চেক প্রাপ্তির তথ্য না জানতে চেয়ে রহস্যজনক কারনে সহযোগীতা করেছেন।
গ্রাহক রহিছ অভিযোগ করে বলেন, আমার চেক হারিয়ে যাওয়ায় জিডি করলাম। বিমল স্যার জিডির কপিটি রাখার সময় নানা তালবাহানা করেছেন। পরে রিসিভ লিখে তারিখ দিয়ে কাগজটি রেখেছেন কিন্তু নিচে সীল দেননি। তখন আমার সন্দেহ হয়েছিল। পরে তিনি ফাইল থেকে জিডির কাগজটি গোপনে সরিয়ে ফেলেছেন। আমার হারানো চেক ব্যাংকে আসলে বাহককে আটক না করে তিনি সুন্দর করে সহযোগীতা করেছেন। আমাদের মত গরীব মানুষ কোথায় গিয়ে সহযোগীতা পাব।
বিমল কুমার চন্দ্র বলেন, আমি কি করব? কর্তা বাবুদের নির্দেশ ছাড়া তো ব্যাংকে কিছুই হয় না।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপক পল্লব কুমার দেব ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আসলে থানা পুলিশের ঝামেলার ভয়ে ওই চেকের বাহককে আটক করিনি। মনে হয় চেকটিতে ডিজ অনার লিখেনি। লিখেছে অর্থ উত্তোলন বন্ধ করা আছে।