সরাইলে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ব্যক্তির মৃত্যু



মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত মন্নর আলী (৫৫) নামে এক ব্যক্তি ৩৪ দিন পর মারা গেছেন।
গতকাল শুক্রবার নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়।
আহত ব্যক্তির মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে প্রতিপক্ষের লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান।
পুলিশ ও মৃত ব্যক্তির পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর ঈদুল আজহার পরদিন সকালে চুন্টা গ্রামের এসি একাডেমি মাঠে গ্রামের হিরা মিয়া মাস্টার ও সফর আলীর গোষ্ঠীর কিশোর বয়সের ছেলেরা ফুটবল খেলছিল। খেলাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। হিরা মিয়া মাস্টারের দলের ছেলেরা বিষয়টি তাদের অভিভাবকদের অবহিত করে। কিন্তু প্রতিপক্ষের ছেলেরা ঘটনাটি তাদের বাড়িতে জানায়নি। এর কিছুদিন পর ওই খেলাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় উভয়পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে মন্নর আলী মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন। আহতাবস্থায় মন্নর আলীকে উদ্ধার করে প্রথমে জেলা সদর ও পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ১৫ দিন চিকিৎসার পর কোনো উন্নতি না হওয়ায় ফের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন ।
সেখান থেকে গত বুধবার তাকে গ্রামের বাড়ি নিয়ে আসা হয়। দীর্ঘ ৩৪ দিন অসুস্থ থাকার পর অবশেষে শুক্রবার নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি।
সংঘর্ষের দিন বিকেলে মন্নর আলীর ছেলে মালেক মিয়া বাদী হয়ে আবদুর রহিমকে (৪০) প্রধান আসামি করে আটজনের নাম উল্লেখসহ একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় অভিযুক্ত ছয়জন জামিনে থাকলেও দু’জন পলাতক রয়েছেন।
সরাইল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মুজিবুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও তিনি জানান।