Main Menu

সরাইল ৩টি গ্রাম অন্ধকারে , ২০ হাজার টাকায় মিলেছে বিদ্যুৎ

+100%-

মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল :দীর্ঘ ৬৫ ঘন্টারও অধিক সময় ধরে অন্ধকারে রয়েছে সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের কাটানিশার, আইরল ও আখিঁতারা গ্রাম। গত শনিবার রাত ২টার পর চলে যায় বিদ্যুৎ। ভ্যাঁসপা গরমে অতিষ্ট হয়ে ওঠে সেখানকার জনজীবন। সেহরি ইফতার ও তারাবির নামাজ নিয়ে চরম বিপাকে পড়ে সেখানকার লোকজন। লাইন চালু করতে ৩০ হাজার টাকা খরচ দাবী করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। দর কষাকষির পর ২০ হাজার টাকার চুক্তি হয়। গ্রাহকদের জিজ্ঞাসা ট্রান্সফরমার বিকল হলে স্বচ্ছল করার দায়িত্ব কি পিডিবি কর্তৃপক্ষের নাকি গ্রাহকদের?

ওই এলাকার ভুক্তভোগী গ্রাহকরা জানায়, গত ১৭ এপ্রিল শনিবার রাত ২টায় হঠাৎ করে বিদ্যুৎ চলে যায়। সেহরি খেয়ে গরমে ঘুমাতে পারেনি কেউ। পরের দিন রোববার বিষয়টি অফিসকে অবহিত করেন স্থানীয় গ্রাহকরা। সকালে পিডিবি’র ২-৩ জন আসেন সরজমিনে। তারা লাইনে টাচ করার পর শব্দ করে আগুনের জ্বলকানি দেয়। জানিয়ে দেন ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে গেছে। ট্রান্সফরমার প্রতিস্থাপন করে লাইন দিতে ৩০ হাজার টাকা খরচ দাবী করেন উপসহকারি প্রকৌশলী মো. সুমন মিয়া। চলতে থাকে দর কষাকষি। ফাঁকে চলে যায় আরো একদিন। মানুষের দূর্ভোগ বাড়তেই থাকে। ভ্যাঁসপা গরমে অতিষ্ট হয়ে ওঠে জনজীবন। রোববারের পর চলে যাচ্ছে সোমবার। বিদ্যুৎ আসছে না। ফলে ৩ গ্রামের গ্রাহকদের ফ্রিজের কাঁচামাল নষ্ট হয়ে গেছে। বন্ধ হয়ে গেছে অনেকের মুঠোফোন সেট। অন্ধকারে খুবই কষ্টে খাচ্ছেন সেহরি ও ইফতার। নাভিশ্বাস ওঠছে তারাবির নামাজ আদায়ে। দিন কোন রকমে পার হলেও রাতে শিশুদের ছটফটে ঘুমোতে পারছেন না মায়েরা।

ওই এলাকার বাসিন্ধা দলিল লিখক মো. আক্তার মিয়া ও কাটানিশার মুন্সি বাড়ির মো. জাবেদ মিয়া বলেন, একাধারে ৩ দিন বিদ্যুৎবিহীন। সীমাহীন দূর্ভোগে আছি আমরা। সরাইল পিডিবি ট্রান্সফরমার স্থাপনের জন্য লেবার চার্জ বাবদ আমাদের কাছে ৩০ হাজার টাকা দাবী করে উপসহকারি প্রকৌশলী মো. সুমন মিয়া। অনেক দর কষাকষির পর ২০ হাজার টাকার চুক্তি হয়। দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় এলাকার লোকজন অনেক কষ্ট করেছেন।
অবশেষে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ২০ হাজার টাকায় মিলেছে বিদ্যুৎ। আমরা একটি বিষয় জানতে চাই ‘বিদ্যুৎ ব্যবহার করে নিয়মিত বিল দিচ্ছি। ট্রান্সফরমার নষ্ট/ বিকল হলে সেটা স্বচ্ছল করার দায়িত্ব কার? গ্রাহকের নাকি পিডিবি কর্তৃপক্ষের?

সরাইল পিডিবি’র উপসহকারি প্রকৌশলী মো. সুমন মিয়া মুঠোফোনে গণমাধ্যমকে বলেন, টাকা নিয়েছি সত্য। তবে ২০ হাজার নয়। দ্রƒত করতে লেবারসহ বিভিন্ন খরচ লাগে। কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে নিয়ম মাফিক করলে কুমিল্লা থেকে অনুমোদন আসতে একমাস সময় লাগে।

নির্বাহী প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ) মো. সামির আসাব বলেন, ফিল্ড থেকে টাকা নেয়ার কোন বিধান নেই। তবে ক্যারিং খরচ বাবদ কিছু টাকা নিয়ে থাকতে পারে। আমার অফিসের কেউ টাকা নেয়নি। অন্য কেউ হয়ত নিয়েছে।






Shares