Main Menu

সরাইল বিজয় দিবসের প্রস্তুতি সভায় উত্তেজনা : মুক্তিযোদ্ধাদের বয়কট!

+100%-

Today-16-December-2সরাইল প্রতিনিধি: সরাইলে ব্যাপক উত্তেজনা বিজয় দিবসের প্রস্তুতি সভা সংক্ষিপ্ত ভাবে শেষ হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও ডেপুটি কমান্ডার সভা বয়কট করেছেন। গতকাল রবিবার দুপুরে প্রশাসন জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় এ ঘটনা ঘটে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ ঘটনাটি প্রচার না করার আহবান জানান গণমাধ্যম কর্মীদের।

সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ/প্রতিনিধি, ইউপি চেয়ারম্যান, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংঘঠনের প্রতিনিধি সহ সকলের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ মিলনায়তন। নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাহিদা হাবিবার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. মাইনুল আবেদীন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট আবদুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শের আলম মিয়া ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাহমিনা আকতার। শুরু হয় পরিচয় পর্ব। সরাইল সদর ইউনিয়নের উচালিয়া পাড়ার বাসিন্ধা মো. আলমগীর মিয়া নিজেকে উপজেলা যুবলীগের সদস্য পরিচয় দেওয়া মাত্র তীব্র প্রতিবাদ ও আপত্তি জানান ভাইস চেয়ারম্যান (যুবলীগের সম্পাদক) মো. শের আলম মিয়া। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে পুরো মিলনায়তনে শুরু হয় তীব্র বাক-বিতন্ডা ও উত্তেজনা। এক পর্যায়ে মাইক হাতে নিয়ে ইউএনও বলেন, দয়া করে আপনারা কেউ রাজনৈতিক দলের পরিচয় দিবেন না। শুধু নাম ও অরাজনৈতিক সংঘঠন হলে পরিচয় দিবেন। কেউ আইন হাতে তুলে নেয়ার চেষ্টা করলে আমি কঠোর হব। এতে আরো ক্ষিপ্ত হন শের আলম মিয়া। তিনি সভায় দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলেন, যে দল মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা দিয়েছে। যে দল আমাকে এ জায়গায় বসিয়েছে। সেই দলই এখন দেশ পরিচালনা করছে। আর ওই দলের (আওয়ামীলীগ) লোকজন বিজয় দিবসের সভায় দলীয় পরিচয় দিতে পারবে না! ইউএনও কে উদ্যেশ্য করে শের আলম বলেন, আপনি এমন সিদ্ধান্ত দেওয়ার কে? এ সিদ্ধান্ত আমি মানি না। এ কথা বলেই পরপর কয়েকবার সভাস্থল ত্যাগ করেন তিনি। এ সময় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. ইসমত আলী ও ডেপুটি কমান্ডার মো. আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে সভা বয়কট করে বেরিয়ে পড়েন বেশ কয়জন মুক্তিযোদ্ধা। কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পরে পুনরায় সভা শুরু করে স্বল্প সময়ের মধ্যে সমাপ্তি ঘোষনা করেন ইউএনও।
এ বিষয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাহিদা হাবিবা বলেন, এটা জাতীয় দিবস পালনের সভা ছিল। আমি আওয়ামীলীগের কথা বলিনি। অবস্থার প্রেক্ষিতে বলেছি “প্রয়োজনে কেউ রাজনৈতিক পরিচয় না দিয়ে শুধু নাম বলুন।” তারপরও ভুল হয়ে থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান এ ঘটনায় উদ্বেক প্রকাশ বলেন, সরাইলের শীর্ষস্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এ সভায় যা হয়েছে তা আমরা ভুলে যায়। সরাইলের স্বার্থে শান্তি শৃঙ্খলার স্বার্থে সভাটা সুন্দর ভাবে করব। বিষয়টি পত্রিকায় বা ইলেকট্রিক মিডিয়ায় প্রচার না করার জন্য তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের অনুরোধ করেন।






Shares