সরাইল-নাসিরনগর লাখাই সড়কে ব্লক চুরি :: নেপথ্যে সড়ক ও জনপথ অফিসের কার্য সহকারি হুমায়ুন মিয়া
মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল :: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে সড়ক ও জনপদের কর্মকর্তা কর্মচারিদের সহযোগীতায় দেদারছে চুরি হচ্ছে পাথর। গত ছয়দিন ধরে সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কের ধর্মতীর্থ এলাকার সড়কের পাথর (ব্লক) নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নাসিরনগরের ফান্দাউকে। কাগজপত্র ছাড়া এক উপজেলার পাথর দিয়ে আরেক উপজেলায় কাজ করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। অপরদিকে জন গুরুত্ব পূর্ণ এ সড়কটি হয়ে পড়বে হুমকির সম্মূহীন। রহস্যজনক কারনে নীরব সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
শনিবার সকালে সরজমিনে দেখা যায়, সরাইলের ধর্মতীর্থ এলাকায় সড়কের পাশের পাথর ট্রাকে বোঝাই করছে কিছু লোকজন। দাঁতমন্ডল গ্রামের বাসিন্ধা শ্রমিক সর্দার ইমাম হোসেন জানায়, সওজের কার্য সহকারি হুমায়ুন মিয়ার নির্দেশে গত ছয়দিনে ১২ গাড়ি পাথর নিয়েছে তারা। যার পরিমান ৭২০। জানা গেছে ২০ বছর আগে ঠিকাদারের ব্লক প্রতি নির্মন ব্যয় ছিল ৭’শ টাকা। সেই হিসাবে সরাইল থেকে তারা ৫ লক্ষাধিক টাকার পাথর (ব্লক) চুরি করে নিয়ে গেল। নাসিরনগরের ফাউন্দাকে কাজ চলছে। এখানকান পাথর সেখানে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিষয়টি সওজের বড় স্যাররাও জানেন। অভিযোগ রয়েছে সওজের লোকজন এভাবে এক জায়গায় ঠিকাদারের ব্যবহ্নত পুরাতন মালামাল অন্য জায়গায় ব্যবহার করে ভূয়া ঠিকাদার সাজিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। দুপুর ১২টার দিকে ওই এলাকায় হাজির হন সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলী আরশাদ। তিনি শ্রমিকদের সড়কের প্রটেকশনের নীচের দিক থেকে পাথর নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে চলে আসেন। সওজের স্থানীয় কার্য-সহকারি হুমায়ুন মিয়া বলেন, কোন কাগজপত্র নেই। স্যারদের সাথে কথা বলেই এখানকার পাথর ফান্দাউকে নিচ্ছি। এ কাজে কোন ঠিকাদার নেই। ফান্দাউকের কাজের এস ও এবং সওজের উপ সহকারি প্রকৌশলী মোঃ শফিকুর রহমান বলেন, কোন ঠিকাদার নেই। কোন ধরনের অফিস অর্ডার বা কাগজ পত্রেরও দরকার নেই। এ কাজটা বিভাগীয় ভাবে হয়ে থাকে। এখানকার অকেজো মাল গুলি কাজে লাগাচ্ছি। সওজের কাজ সওজ করবে, এখানে স্থানীয় এমপি, ইউএনও ও প্রকৌশলীকে জানানোর কোন প্রয়োজন নেই।
২০-২১ বছর আগে এ সড়কে কাজ করে এই ব্লক গুলোর বিল নিয়ে গেছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। এখন যে কাজ করবেন বিল হবে। এই বিল কোন খাতে যাবে? এমন প্রশ্নের কোন সদত্তোর দিতে পারেননি সহকারি প্রকৌশলী। সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাহিদা হাবিবা বলেন, এক উপজেলার মালামাল আমাদের অজান্তে অন্য উপজেলায় যাবে। এমনটা হতে পারে না। আমি খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।