Main Menu

সরাইলে মাদক সেবনে বাঁধা দেওয়ায় গৃহবধুকে কূপিয়ে আহত, হত্যার হুমকি

+100%-

সরাইল  প্রতিনিধিঃ সরাইলে প্রকাশ্যে দিবালোকে বসতঘরের আঙ্গিনায় বসে গাঁজা সেবনে বাঁধা দেওয়ায় গৃহবধু ৩ সন্তানের জননী নাদিরা বেগম (৪০) কে কূপিয়ে আহত করেছে খলিল মিয়া (২৫) সহ ৪-৫ জন মাদকসেবী।

মঙ্গলবার সকালে উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের মোবারকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মামলা করলে বা কাউকে জানালে গৃহবধুকে হত্যার হুমকি দিয়েছে খলিল। আহত নাদিরা বেগম মাদকাসক্তদের বিরুদ্ধে সরাইল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগপত্র ও আহত গৃহবধু সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকার সিরাজুল হকের ছেলে খলিল মিয়া (২৫)। সে দীর্ঘদিন ধরে একটি সিন্ডিকেট তৈরী করে মাদক বিক্রি ও সেবন করে আসছে। এ ছাড়া এলাকায় প্রায়ই ত্রাসের রাজত্ব কায়েক করে থাকে। খলিল তার ভাইয়েরা ও বাহিনীর ভয়ে সেখানকার লোকজন মুখ খুলেন না।

মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে খলিল তার কয়েকজন সহযোগী নিয়ে জাহিদুল হকের বসতঘরের পাশে বসে গাঁজা সেবন করতে থাকে। গাঁজার গন্ধে ঘুম ভাঙ্গে বাড়ির লোকজনের। জাহিদুলের স্ত্রী নাদিরা বেগম খলিলকে সেখানে গাঁজা সেবন করতে নিষেধ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয় খলিল নাদিরাকে বলে নিজের বাপের টাকা দিয়ে গাঁজা খায়, তোমার কি? এ ছাড়া অশ্লিল ভাষায় গালাগালও করে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে খলিল তার ২ ভাই মিজান (২০), রমজান (১৮) সহ কয়েকজন দা লাঠি নিয়ে সজ্জিত হয়ে নাদিরা বেগমের উপর হামলা চালায়। খলিলের দায়ের কূপে নাদিরা বেগমের ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির নিচের অংশ মারাত্বক জখম হয়। সেখানে ৪-৫টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। আরমান মিয়া (১৯) নামের গৃহবধুর এক প্রতিবেশী নাদিরাকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে খলিলরা তার উপর আক্রমন করে এলোপাতাড়ি মারধর করে। আরমানের গলার নিচে রক্তাক্ত জখম করে। তাদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে খলিল বাহিনীর হাত থেকে উদ্ধার করে সরাইল হাসপাতালে নিয়ে যায়।

খলিল যাওয়ার সময় বলে যায়, মামলা করলে অথবা কারো কাছে বিচার প্রার্থী হলে নাদিরাকে হত্যা করে ফেলব। এ ঘটনার বিচার চেয়ে গৃহবধু নাদিরা গতকালই সরাইল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুপক কুমার সাহা বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। মাদকাসক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।






Shares