সরাইলে দোকানের ভিতরে ৪ ঘন্টা তালাবদ্ধ ব্যবসায়ী



মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল ॥ করোনা ভাইরাসের প্রাদূর্ভাব ঠেকাতে সরাইলে চলছে লকডাউন। কিন্তু এ লকডাউন শতভাগ মানছে না মানুষ। নিয়ম না থাকলেও কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সুযোগ বুঝে খুলছেন অনেক ব্যবসায়ি। বন্ধ হয়নি এখনো গ্রাম্য চায়ের দোকানের আড্ডা। চা দোকানের আড্ডায় করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদেরও দেখা যায়্ । উপজেলা সদরের ব্যবসায়িদের উপর প্রশাসনের নজরদারী একটু বেশী।
গত বুধবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১১ টার দিকে শহীদ মিনার সংলগ্ন মার্কেটের শুভেচ্ছা বস্ত্রালয় খোলার অভিযোগে সেখানে হাজির হন সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফারজানা প্রিয়াংকা। উনার উপস্থিতি টের পেয়ে ভয়ে সার্টার নামিয়ে ভেতরের দিকে আটকে দেন দোকানের মালিক প্রশান্ত দাস। পুলিশসহ এসি ল্যান্ড অনেক চেষ্টা করেও সাটার খোলাতে পারেননি। পরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ফারজানা প্রিয়াংকা বাহিরের দিকে তালাবদ্ধ করে দেন। পাহাড়ায় রেখে যান পুলিশ ও দফাদার। পরে তিনি বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্টানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করেন। বিকাল ৩ টার দিকে আসলে পুলিশ ও অন্যান্য লোকজনের আশ্বাসে ভেতর থেকে দোকানের সাটার খুলে দেন প্রশান্ত দাস। ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
তবে প্রশান্তের ছোট ভাই জয়ন্ত দাস বলেন, আমার ভাই দোকান খুলেনি। পরিবারের বাজার করতে গিয়েছিল। দোকানে প্রবেশ করেছিল ব্যাগের জন্য। পুলিশ দেখে বেশী ভয় পেয়ে গিয়েছিল। এক অপরাধে আমাদের দুই শাস্তি পেতে হল। ৪ ঘন্টা তালাবদ্ধ। এরপর আবার ৫ হাজার টাকা জরিমানা। সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ফারজানা প্রিয়াংকা বলেন, আইন অমান্য করে দোকান খুলেছেন। আবার চালাকিও করেছেন। সুযোগ করে পরে পালিয়ে যাবেন। তাই বাহিরে তালা দিয়েছিলাম। উনার বিরুদ্ধে মামলা করা যেত।