সরাইলে দূর্ধর্ষ ডাকাতি,আটক-১



মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল ॥ সরাইলে প্রবাসী শফিকুল ইসলামের (৪০) বসত বাড়িতে দূর্ধর্ষ ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতি শেষে যাওয়ার সময় জাবড়ে ধরে রাসেল (৩০) নামের এক ডাকাতকে আটক করে ফেলেছেন গৃহকর্তী ফুলকিছ বেগম (৩০)।
গত রোববার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার আইরল গ্রামে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মামলা করতে রাজি হননি শফিকুল। তবে পুলিশ ভিন্ন পন্থায় মালামাল উদ্ধার ও ডাকাত দলের বিরূদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কাজ করছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সৌদী প্রবাসী শফিকুল। নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আইরল গ্রামে সড়কের পাশেই তার বাড়ি। বাড়ির পাশেই তার এক স্বজনের একটি গরূর ঘর রয়েছে। রোববার রাতে ওই গরূর ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন শফিকুল। আর তার বসত ঘরে ঘুমিয়ে ছিল স্ত্রী ফুলকিছ ও সন্তানরা। রাত ২টার দিকে বাড়ির পেছনের দিক দিয়ে ৭-৮ জনের সংঘবদ্ধ মুখোশ পড়া একদল ডাকাত বাড়িতে প্রবেশ করে। এর আগে তারা যে ঘরে ঘুমিয়ে আছে সেই ঘরে বাহিরের দিকে তালাবদ্ধ করে দেয়। তারা প্রথমে শফিকুলের বসত ঘরের গেইটের তালা ভেঙ্গে ফেলে। ভেতরে প্রবেশ করেই ফুলকিছ বেগম ও তার সন্তানদের মারধর করে। পরে অস্ত্রের মুখে সকলকে জিম্মি করে। পরে আলমিরার তালা ভেঙ্গে নগদ ১লাখ ২০ হাজার টাকা, দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণলঙ্কার, মুঠোফোন সেট সহ প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটে নেয়। ডাকাতি শেষে দল বেঁধে যেতে থাকে ডাকাতরা। এ সময় ফুলকিছ বেগম দৌঁড়ে গিয়ে সবার পেছনে থাকা ডাকাত সদস্যকে পেছনের দিক থেকে জাবরে ধরে। ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করতে থাকেন। প্রাণ ভয়ে ডাকাত দলের অন্য সদস্যরা দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। গৃহকর্তীর শোর চিৎকারে স্বজন ও আশপাশের লোকজন দৌঁড়ে আসেন। আটককৃত ডাকাতকে উত্তম মাধ্যম দেয়।
সোমবার ভোরে ঘটনাস্থলে পৌঁছেন পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কবির হোসেন। তিনি ডাকাত রাসেলকে থানায় নিয়ে আসেন। ডাকাত রাসেল বরগুনা জেলার গোবাখালি থানার বামনা গ্রামের আবদুল আজিজের ছেলে। এ ঘটনায় মামলা দিতে রাজি হননি শফিকুল ও তার স্ত্রী ফুলকিছ। এমনকি গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে ডাকাতির বিষয়ে তথ্য দিতেও তারা অনীহা প্রকাশ করছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাসেলকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছিল।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ পর্যন্ত ১২ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছি। শীর্ষ স্থানীয় ডাকাত সর্দারকেও গ্রেপ্তার করতে পেরেছি। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করার কাজ করছি। অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আনতে পারব। ডাকাত ও মাদকের সাথে কোন ধরণের আপোষ নেই।