Main Menu

আগরতলায় ইসলামের আলো ছড়াচ্ছে গেদু মিয়া মসজিদ

+100%-

মোহাম্মদ মাসুদ, আগরতলা (ত্রিপুরা) থেকে ফিরে ॥ আগরতলায় (ত্রীপুরা) ইসলামের আলো ছড়াচ্ছে গেদু মিয়া মসজিদ। মসজিদটি স্থানীয় মুসলমানদের কাছে অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থান।
এ মসজিদটি দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় গেদু মিয়া নামের এক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠা করেন তিন গম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদটি। তার নাম অনুসারেই মসজিদটি পরিচিতি পায় (গেদু মিয়া মসজিদ)।
ঢাকার দক্ষ মিস্ত্রি দিয়ে নির্মাণ কাজ করা হয় মসজিদটির। মসজিদটি নির্মাণ করতে সময় লাগে তিন বছর। সুন্দর মসজিদ নির্মাণে খরচ হয় ৬০ হাজার টাকা। এক সময় এই মসজিদে নামাজ আদায় করতে দূর দুরান্ত থেকে লোকজন আসে ।
ভারতের অন্যান্য অঞ্চল থেকে এখানে মুসলামানদের সংখ্যা অনেক কম। দেশভাগের আগে প্রচুর মুসলিমের বসতি ছিলে এখানে । কিন্তু পরবর্তী সময়ে এখানকার মুসলমানরা অন্যান্য স্থানে চলে যায় । বর্তমানে এ এলাকার মুসলিম এক পরিবারই এখানে আছেন। তারাই এই মসজিদের দেখাশোনা করেন।
এই পরিবারেরই একজন, ইমাম আবুল ফজল খুদরি। তিনিই দীর্ঘদিন ধরে এই মসজিদে ইমামতি করছেন। নিয়মিত পড়িয়েছেন ৫ওয়াক্ত নামাজ। বর্তমানে তিনিও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাই তিনিও এখন আর ইমামতি করতে পারছেন না। মসজিদ ও সংলগ্ন ঈদগাহ মিলিয়ে স্থানীয় মুসলমানদের দানের সাড়ে ৩ বিঘা জায়গা। মসজিদের ভেতরে ৩টি ও বারান্দায় ২টি কাতার হয়। প্রতি ঈদে ২টি বড় জামাত হয়। তখন মাঠ ভরে যায় মুসল্লিতে। মসজিদের সামনে রয়েছে গেদু মিয়া ও তার স্ত্রীর কবর।
এসব কথা জানিয়ে ইমাম আবুল ফজল খুদরির পরিবারের সদস্যরা বলেন, আমরা এই মসজিদের বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের পরিবারের লোকজন অনেক বছর যাবৎ এ মসজিদের কাজ করছেন। আমার বাবা-চাচারা অসুস্থ হওয়ার পর অনেক কাজ আমরা করতে পারিনা। ওয়াক্তের সময় আজান হয় কিন্তু জামাত হয় না। বেশিরভাগ সময় একাই নামাজ আদায় করতে হয়। অনেক সময় মুসল্লিদের নিজেদের আজান দিয়েও নামাজ আদায় করতে হয়। ঈদের জামাতে অনেক লোকজন আসেন। মসজিদও মসজিদের বাইরের মাঠ ভরে যায়। রোজার সময় ইফতারি হয় নিজেদের মতো। তারাবি নামাজে কয়েকজন লোক হয়।
আগরতলার এক মুসল্লি বলেন, শিবনগরের গেদু মিয়ার মসজিদ অনেক সুন্দর এবং পুরাতন মসজিদ। তিনি মাঝে মাঝে এখানে নামাজ আদায় করতে আসেন। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন নামাজের ব্যবস্থা থাকলেও তেমন মুসল্লি হয় না। আশে পাশে মুসলিম বাড়ি কম থাকার কারণে মুসল্লি কম হয় বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, তবে এখানে নামাজ আদায় করতে আসেন এলাকার বাইরের মানুষ।
ইসলাম ধর্মের মুসল্লিরা দিল্লি, আসাম, শিলং, কলকাতা ও ঢাকা থেকেও অনেক লোক আসেন মসজিদটি দেখতে। আর মসজিদটি দেখতে আসা অনেকেই এখানে নামাজ আদায় করেন। শুক্রবার জুমার নামাজে অনেক মুসল্লি হয়।