“হাসপাতালের সেবার মান বৃদ্ধিই আমাদের প্রথম লক্ষ্য” —–তত্ত্বাবধায়ক ডা: মো: শফিকুল ইসলাম
ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৭: “হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা, রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত এবং সেবা গ্রহণে হয়রানি রোধ কল্পে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে”। ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭ দুপুর ১২:০০ ঘটিকায় সদর হাসপাতাল সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত টিআইবি’র অনুপ্রেরণায় গঠিত সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র উদ্যোগে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতাল এর স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় এ আশ^াস প্রদান করেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা: মো: শফিকুল ইসলাম। তিনি আরও বলেন যে যদি কোন ন্যায্য অভিযোগ ও পরামর্শ তার কাছে প্রেরণ করা হলে তার যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সনাক সদস্য মোহাম্মদ আরজুর সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সনাক সদস্য নন্দিতা গুহ। তিনি বলেন যে সনাক, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং সেবা গ্রহীতারা কোনভাবে কেউ কারও প্রতিপক্ষ নয়, আমরা সবাই হাসপাতালের সেবার মান বাড়ানোর জন্য মিলেমিশে কাজ করবো। সনাক সভাপতি জেসমিন খানম তার বক্তব্যে বলেন সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে ঠিক তেমনি কিছু কিছু ক্ষেত্রে আরও পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে।
সভায় স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নে সনাকের উল্লেখযোগ্য সুপারিশগুলো হলো: অভিযোগ দায়ের সংক্রান্ত নির্দেশনা নিশ্চিত করা এবং অভিযোগ নিস্পত্তি কমিটি গঠন করা, হাসপাতালে নির্ধারিত সময়ে ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা এবং কোন কারণে উপস্থিত হতে না পারলে নির্ধারিত কক্ষের সম্মুখে অনুপস্থিতির বিষয়টি নোটিশ দিয়ে অবহিত করা (এতে রোগীর হয়রানী হ্রাস পাবে), দালাল নিয়ন্ত্রণ জোরদার করা; প্রয়োজনে নিয়মিত দালাল প্রতারক চক্র নিয়ন্ত্রণে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের আইডি কার্ড বা নির্ধারিত পোশাকের ব্যবস্থা করা, ডিউটি রোস্টার দৃশ্যমান করা; প্রত্যেক ওয়ার্ডের বাথরুম/গোসলখানাগুলো নিয়মিত পরিষ্কারের মাধ্যমে “পুরুষ / মহিলা” আলাদাভাবে চিহ্নিত করা, নাগরিক সনদ হালনাগাদ করা, প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব একটি ওয়েব পোর্টাল করা, জেন্ডার বান্ধব স্বাস্থ্যসেবা তথা নারী ও শিশুসেবা প্রদানে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডগুলোতে মহিলা রোগীদের প্রাইভেসি নিশ্চিত করা, একটি তথ্যকেন্দ্র অথবা হেল্পডেস্ক স্থাপন করা।
সনাকের পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশমালার আলোকে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা: মো: শফিকুল ইসলাম সনাকের উত্থাপিত অধিকাংশ পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশমালার সাথে একমত পোষন করে তার নেয়া সাম্প্রতিক কিছু পদক্ষেপ এবং এর সুফল উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, সকলের সহযোগিতা ও পরামর্শ পেলে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সামর্থের মধ্যে থাকা সকল সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হবে। একই সাথে স্বাস্থ্যসেবা বৃদ্ধির জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপনে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।