শিক্ষক বটে! শিক্ষক সমাজের প্রশ্ন খুটির জোর কোথায়?
নিজস্ব প্রতিবেদক:: তিনি একজন প্রভাবশালী সহকারি শিক্ষক। তিনি আইন কানুনের তোয়াক্কা করেন না। তিনি প্রভাবশালী ও ক্ষমতাবান। তার অশোভন আচরণে অতিষ্ঠ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও শিক্ষকরা। তিনি উপজেলা শিক্ষা কমিটির সুপারিশ উপেক্ষা করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও একজন প্রধান শিক্ষকের সাথে অশোভন আচরণ করেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের মীরহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা কবিতা ভুইয়া তার যাতায়াত ভোগান্তির কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় বদলীর জন্য আবেদন করলে তাকে কাজীপাড়া পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের প্রেষণে (ডেপুটেশন) বদলী করা হয়। এখানে চাকুরী করাকালীন সময়ে তিনি শিশু শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাত করে ব্যাপক সমালোচিত হন। এনিয়ে তৎকালীন সময়ে স্থানীয় পত্রিকায় বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে তিনি পিটিআইয়ের তৎকালীন সুপার জেসমিন খানমের সাথে অশোভন আচরণ করলে এখান থেকে তার ডেপুটেশন বাতিল করা হয়। গত কয়েক মাস আগে সহকারি শিক্ষক কবিতা ভুইয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কাজীপাড়া পৌর আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলীর জন্য আবেদন করেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে সদর উপজেলা শিক্ষা কমিটি তাকে পূর্ব মেড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলীর জন্য সুপারিশ করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে প্রস্তাব পাঠান। শিক্ষা কমিটির সুপারিশে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কবিতা ভুইয়াকে পূর্ব মেড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলীর আদেশ দেন। এই বদলীর আদেশ পেয়ে তেলে বেগুনে ক্ষেপে যান কবিতা ভুইয়া। তিনি পূর্ব মেড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান না করে কাজীপাড়া পৌর আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাকে যোগদান করাতে এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে দফায় দফায় চাপ প্রয়োগ করেন। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার কবিতা ভুইয়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার বনিক ও প্রধান শিক্ষক বেগম শাহীনুরের সাথে চরম অশোভন আচরণ করে তাদেরকে দেখে নেওয়ার হুমকী দেন।
এ ব্যাপারে পৌর আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেগম শাহীনুর বলেন, কবিতা ভুইয়ার আচরণে আমি হতবাক। তিনি বলেন, গত ২/৩ দিন আগে সে আসে আমার স্কুলে যোগদান করতে। আমি তার কাছে বদলীর আদেশ চাইলে সে আমার সাথে অশোভন ও উদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে। গত বৃহস্পতিবার পুনরায় এসে সে আমার সাথে চরম অশোভন আচরণ ও নতুন যোগদান করা দুই শিক্ষকের সাথে অশোভন আচরণ করেন। তিনি বলেন, কবিতা ভুইয়া আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকী দেন। এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার বণিক বলেন, সহকারি শিক্ষক কবিতা ভুইয়ার অশোভন ও অসৌজন্যমূলক আচরণে যন্ত্রনায় আছি।
তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার সকালে সভা চলাকালে কবিতা ভুইয়া রুমে প্রবেশ করে আমাকে গালিগালাজ করে আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। এদিকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং প্রধান শিক্ষিকার সাথে শিক্ষিকা কবিতা ভুইয়ার অশোভন আচরণে শিক্ষক সমাজের প্রশ্ন কবিতা ভুইয়ার খুটির জোর কোথায়? তিনি কি আইনের উর্ধ্বে?