শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে জেলা বিএনপির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত
বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক, আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর ৩৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে গত ৩০ মে, বুধবার শহরের ফুলবাড়িয়াস্থ কনভেনশন সেন্টারে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাবেক ভিপি মোঃ জহিরুল হক খোকন জহিরের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির অভিভাবক, সাবেক মন্ত্রী, কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জননেতা আলহাজ্ব এডঃ হারুন আল রশীদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য এম এ খালেক, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি জিল¬ুর রহমান, এডঃ শফিকুল ইসলাম, এডঃ গোলাম সারোয়ার খোকন, যুগ্ম সম্পাদক এডঃ আনিছুর রহমান মঞ্জু, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা এবং বিভিন্ন উপজেলার ও পৌর বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ, উপজেলা চেয়ারম্যানবৃন্দ, সাংবাদিক, বিভিন্ন ইউনিয়ন বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকবৃন্দসহ কয়েক হাজার জিয়া প্রেমি ভক্তবৃন্দ। কনভেশন সেন্টার কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে জায়গার সংকুলান না হওয়ায় সেন্টারের সামনে বিশাল পাঠ পর্যন্ত লোকেলোকারণ্য হয়ে যায়। এই যেন এক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শুভাকাঙ্খীদের মিলন মেলা। অনুষ্ঠানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনার পাশাপাশি দেশ ও জাতির শান্তির লক্ষ্যে দোয়া প্রার্থনা করা হয়।
নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তৃতায় বলেন, বর্তমান ভোটার বিহীন অগণতান্ত্রিক সরকার যেভাবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ বিএনপির অন্যান্য নেতাকর্মীদের উপর মিথ্যা মামলা, জেল, জুলুম, নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে এতে করে দেশে এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা চলছে। বক্তারা বলেন, আগামীতে এই সমস্ত অন্যায় অত্যাচার, জেল, জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করে এদেশের মাটিতে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে এনে বাকশালী ভোটার বিহীন সরকারের পতন ঘটানো হবে ইনশাল্লাহ্।
এদিকে পূর্বে ঘোষনা অনুযায়ী শহরের টেংকের পাড়স্থ পৌর কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠানের আগের দিনে রাতে পুলিশ অন্যায় ভাবে বাধা ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে কর্মসূচী করতে না দেওয়ায় অত্যন্ত ক্ষোভের সাথে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। পাশাপাশি পুলিশের সকল প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে শহরের ফুলবাড়িয়াস্থ কনভেনশন সেন্টারে শান্তিপূর্ন ভাবে কর্মসূচীকে সফল করায় দলীয় নেতা কর্মী সমর্থকারী ও শুভাকাংক্ষীদেরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ জহিরুল হক খোকন জহির।প্রেস বিজ্ঞপ্তি